মাত্র 10 টাকায় সুস্বাদু দই কচুরি বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছে এই ক্ষুদে! ভিডিও নিমেষে ভাইরাল, সাহায্যের আবেদন নেটাগরীদের

অভাব মানুষের বয়স স্থান-কাল-পাত্র বোঝেনা, মানুষ পেটের দায়ে কি না করতে পারে, তারই এক জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত এটি।সম্প্রতি সোশ্যাল-মিডিয়ায়-ভাইরাল হয়েছে গুজরাটের আহমেদাবাদের একটি ঘটনা। ১৪ বছরের এক বালক মাত্র ১০ টাকার বিনিময়ে বিক্রি করছেন দই কচুরি। এমন খবরটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া মাত্রই সবাই হতবাক।
দই কচুরির মত খাবারটি তাও মাত্র ১০ টাকার বিনিময়ে সে দিতে পারে কি করে? আমরা সচরাচর অনেক খাবারের রেসিপি সোশ্যাল মিডিয়া দেখে থাকি এবং বর্তমানে মানুষের এখন রান্না করা খুব সহজ মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে এসমস্ত সোশ্যাল সাইট গুলি। যেখান থেকে মানুষ রান্নার রেসিপি দেখে নানান মজাদার পদ নিত্য দিন বানিয়ে নিজেও টেস্ট করতে পারেন এবং পরিবারের সবাই কেও খাইয়ে আনন্দ উপভোগ করতে পারেন।
তেমনই দই কচুরি একটি অত্যন্ত ভালো একটি পদ, আর এই পদটি মাত্র ১০ টাকার বিনিময়ে। তবে যে ফেসবুক পেজ থেকে তার এই ভিডিওটি প্রকাশিত হয়েছে সেখানে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন খাবারের সন্ধান দেয়া হয়। তাই সেই পেজের অনেকই ফলোয়ার্স থাকায় তারা অনেকেই আবার এই বালকটিকে চেনেন বলে দাবি করেছেন। অনেকে কমেন্টস করেছেন তাঁর বাবাকে সে কাজে হেল্প করছেন। আবার অনেকে কমেন্টস করেছেন যথেষ্ট সুস্বাদু তার এই দই কচুরি একবার ট্রাই করা যেতেই পারে।
তবে পোস্টটিতে শুধুমাত্র যে ভিডিওটি আপলোড হয়েছে তা নয়, তার সাথে হ্যাশট্যাগ এ কিছু কোথাও লেখা হয়েছে তা হল, বালকটিকে সাহায্য করুন মাত্র ১৪ বছর বয়স তার; আর্থিক অবস্থা খারাপ থাকায় সেই পরিবারের প্রয়োজনেই সে এই দই কচুরি বিক্রি করছে এবং তার বিনিময়ে নিচ্ছে অল্প মাত্র টাকা ১০ টাকা, যা আজকাল কোনো মূল্যই রাখেনা।
আদৌ তা দিয়ে কতটুকুই বা লাভ করতে পারে সে? কতটুকুই বা সে পরিবারের পাশে দাঁড়াতে পারে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে আমাদের সকলের। তাই আমাদের উচিত যথা শীঘ্র তার পাশে দাঁড়ানো। যে বয়সটা লেখাপড়া করার, স্কুল যাওয়ার বয়স তা না করে অকালে একটি শিশু তার ছেলেবেলা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।