সৌরভের এত তাড়াতাড়ি ঠিক হয় নি: মধুমিতার গলায় আক্ষেপের সুর

মধুমিতা সরকার, একজন অসম্ভব সুন্দরী একজন নায়িকা। নিজের ক্যারিয়ারে খুব দ্রুত পরিবর্তন নিয়ে এসেছিলেন তিনি। ছোট পর্দার নায়িকা থেকেই হঠাৎ করেই তিনি বড় পর্দার নায়িকা হয়ে গেছেন। প্রতিদিন নিজেকে আরও কিছুটা পরিবর্তন করার জন্য অবিরাম পরিশ্রম করে চলেন তিনি। তার অভিনয় দক্ষতা বুঝিয়ে দেয় তিনি প্রত্যেক বার নিজেকে নিয়ে কতখানি চিন্তাভাবনা করেন।

অভিনেত্রী হওয়ার পাশাপাশি তিনি একজন সক্রিয় ইনস্টাগ্রাম ইউসার। আপনি যদি মধুমিতা সরকার কে ফলো করেন তাহলে বুঝতে পারবেন, ভক্তদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার জন্য প্রতিনিয়ত তিনি নতুন ভাবে নিজেকে মেলে ধরেন তাদের কাছে। কখনো ছোট পোশাক পরে তিনি ছবি পোস্ট করেন তো কখনো আবার একেবারে ভারতীয় রূপে ধরা দেন সকলের কাছে। তার ছবি দেখে খুশি হন তাঁর ভক্তরা। প্রতিনিয়ত ও তার ফলোয়ার সংখ্যাঃ বেড়ে যায় সময়ের সাথে সাথে।

তবে এ তো গেল অভিনেত্রী মধুমিতা সরকারের কথা। এবার মধুমিতার ব্যক্তিগত সম্পর্কের কথা কিছু বলা যাক। সম্প্রতি কলকাতার অন্যতম সফল প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্কের কথা টলিউডে অন্যতম চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদিও তার ব্যক্তিগত জীবন অনেক আগে থেকেই চর্চার বিষয় হয়ে ছিল সকলের কাছে, যখন তিনি অভিনেতা এবং পরিচালক সৌরভ চক্রবর্তীর সঙ্গে সম্পর্কে আবদ্ধ হয়েছিলেন।

তাদের গভীর সম্পর্কের কথা আমাদের কারোর কাছে অজানা নয়। কিন্তু হঠাৎ করেই শোনা যায় তারা আর একসাথে থাকছেন না। কিন্তু আইনি বিচ্ছেদ না হলেও তাদের মানসিকতা যে অনেকখানি পাল্টে গেছে তা সকলের কাছে স্পষ্ট হয়ে যায়। সম্পর্ক প্রসঙ্গে মধুমিতা অভিযোগ করেছিলেন যে, সৌরভের সঙ্গে বহু মহিলার অবৈধ সম্পর্ক আছে তা কোনোভাবেই তিনি তার সঙ্গে থাকতে পারছেন না।

তবে এরপর নিজেই অন্যের ঘর ভাঙ্গার জন্য দায়ী হয়েছিলেন। কানাঘুষো খবর শুনতে পাওয়া গিয়েছিল, অনিন্দিতা বসু এবং সৌরভ দাসের সম্পর্ক ভাঙ্গার নেপথ্যে ছিলেন তিনি। যদিও এই সমস্ত কথা স্বীকার করেননি কেউ। তবে এবার সৌরভ চক্রবর্তীর একটি বিস্ফোরক মন্তব্য ঘিরে আরও একবার চাঞ্চল্য ছড়িয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়াতে। সৌরভ চক্রবর্তী প্রকাশ্যে বলেন, মধুমিতা সরকারের সঙ্গে কোনো রকম সিনেমা করার ইচ্ছা নাই তার। যে মহিলা তার সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে পারেনি, তার সঙ্গে সিনেমা করার কোন ইচ্ছা প্রকাশ করেন না তিনি।

যদিও সৌরভ দাসের সঙ্গে সম্পর্কের কথা নিমেষে উড়িয়ে দিয়ে নায়িকা বলেন, যেটা মিথ্যা সেটা নিয়ে আমি ভাবি না। তবে অতিমারির জন্য যে তার আইনি বিচ্ছেদ আটকে আছে তা বলতে ভুলে যান নি তিনি। তবে আপাতত নিজের দেশের বাড়িতে পৈতৃক বাড়ি চম্পাহাটিতে বেশ ভালোভাবেই রয়েছেন তিনি। বহুদিন নিজেদের বাড়ির কাউকে সময় না দেওয়ার জন্য সবসময় আফসোস করতে হয় তাকে। তাই করোনা পরিস্থিতিতে নিজের দেশের বাড়িতে সকলের সঙ্গে সময় কাটানোর এই সুবর্ণ সুযোগ একেবারেই হাতছাড়া করেননি মধুমিতা সরকার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button