রাস্তার ধারে এক পেঁপে বিক্রেতার টলি থেকে পেঁপে ছুড়ে ফেলে দিচ্ছেন একজন অধ্যাপিকা, ভিডিও দেখে তাজ্জব নিগরিকেরা

সাধারণত, কলেজের অধ্যাপকদের সমাজের প্রতি অত্যন্ত বুদ্ধিমান এবং দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তারা তাদের শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার পাশাপাশি ভালো মানুষ হতে শেখায়। কিন্তু মধ্যপ্রদেশের ভোপাল শহরে এক নারী অধ্যাপক তার কর্মকাণ্ডের জন্য কু_খ্যা_ত হয়ে গেলেন।
এক দরিদ্র ফল বিক্রেতার ফল রাস্তায় ছুড়ে মা_রা_র ভিডিও সোশ্যাল-মিডিয়ায়-ভাইরাল হচ্ছে। এই ভিডিও দেখে সবাই এই অধ্যাপিকার নি_ন্দা করছেন। আসুন দেখে নেওয়া যাক পুরো ব্যাপারটি কি।
ভোপালের একটি বেসরকারি কলেজের অধ্যাপিকা বলে পরিচিত এই মহিলাটির গাড়ি পার্কিং লটে পার্ক করা ছিল এবং তখন এক ফল বিক্রেতা তার হাত গাড়ি নিয়ে সেখান দিয়ে যাচ্ছিলেন। দু_র্ঘ_ট_না_ক্র_মে, তার হাত গাড়িটি অধ্যাপিকার গাড়িটিকে স্পর্শ করে, কিন্তু তার ফলে গাড়ির কোনো ক্ষতি হয়নি।
কিন্তু তারপরেও রাগে পাগল হয়ে গেল সেই মহিলাটি। সে গরিবের হাত গাড়িটির থেকে ফল রাস্তায় ফেলতে থাকে। ফলওয়ালা অসহায় হয়ে দাঁড়িয়ে মহিলার কান্ড দেখতে থাকে এবং তিনি মহিলাকে বলেন, “তোমার গাড়ির যত ক্ষতি হয়েছে আমার কাছ থেকে টাকা নিয়ে নাও।”
কিন্তু মহিলাটি তার কথা শোনেনি। সে সেই দরিদ্র ব্যক্তির ফল রাস্তায় ফেলে তার ক্ষ_তি করতে উদগ্রীব ছিল। এই হট্টগোল দেখে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়া কয়েকজন থেমে গিয়ে কোনোরকমে মহিলাকে শান্ত করার চেষ্টা করেন এবং পুরো বিষয়টি ভোপালের বারখেদি এলাকার বলা হচ্ছে।
ঘটনাটি তিনদিন আগে ঘটলেও, এর ভিডিও এখন ভাইরাল হচ্ছে। মহিলাটি যখন হট্টগোল করেছিল, তখন কিছু লোক তার ভিডিওটি করে। ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর ওই মহিলা অধ্যাপকের ওপর ক্ষো_ভ প্রকাশ করছেন মানুষ এবং মহিলার বি_রু_দ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, “অধ্যাপিকা হওয়া সত্বেও মহিলার আচরণ রাস্তার মানুষের মতন।” তারপর একজন বলেছেন, “মহিলা যা করছে তা খুবই অন্যায়, আশাকরি ওই ফল বিক্রেতা ন্যায়বিচার পাবেন।” আচ্ছা, এই পুরো ঘটনাটি সম্পর্কে আপনার কী মতামত? এই মহিলা অধ্যাপকের কি শা_স্তি হওয়া উচিত বলে আপনি মনে করেন?