মাদক সেবন থেকে পরকীয়া কোন কিছুতেই কম নয়, মাতলামি করার অভিযোগ নোবেলের বিরুদ্ধে পুলিশি হস্তক্ষেপ

অসাধারণ একজন গায়ক তিনি, ভারতে এসে সকলের মন জয় করে নিয়েছিলেন বাংলাদেশি এই গায়ক। কিন্তু তারপর হঠাৎ করে একের পর এক বিতর্কে জড়িয়ে পড়তে শুরু করেন গায়ক মঈনুল আহসান নোবেল। একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য করে সকলের ঘৃণার পাত্র হয়ে ওঠেন তিনি। সম্প্রতি এক বান্ধবীকে নিয়ে বাংলাদেশের বান্দরবান বেড়াতে গিয়ে মাদকদ্রব্য সেবন এবং অশালীন আচরণ করার জন্য তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছে।
আশ্চর্যজনকভাবে বুধবার নিজেই এই সমস্ত ছবি পোস্ট করেছিলেন গায়ক মঈনুল আহসান নোবেল। ছবিতে পাহাড়ি অঞ্চলে এক মহিলার সঙ্গে বসে থাকতে দেখা যায় তাকে। কয়েকটি অশ্লীল ছবিও দেখা যায় সেখানে। ছবিগুলো পোস্ট করে গায়ক লিখেছেন, গাজার নৌকা পাহাড়তলী যায় ও মিরাবাই।
সম্প্রতি বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম সূত্র থেকে জানা গেছে, গত বুধবার রাতে বান্দরবান বেড়াতে গিয়েছিলেন নোবেল। যে মহিলাকে সঙ্গে নিয়ে তিনি বেড়াতে গিয়েছিলেন তাকে নিজের স্ত্রী বলে পরিচয় দেন সেখানে। মহিলার সঙ্গে বান্দরবানের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়ান নোবেল।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, নোবেলকে প্রকাশ্যে মাদক সেবন করতে দেখা যায়। এমনকি এলাকাবাসীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন তিনি। এই সমস্ত কারণে গায়ক এর উপর বিরক্ত হয়ে যায় স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি গার্ডেন সিটি এলাকার যে হোটেলে তিনি ছিলেন, সেই হোটেল কর্তৃপক্ষ অভিযোগ জানিয়েছেন, মাঝরাতে হোটেলের লনে এসে মদ্যপ অবস্থায় চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করেন গায়ক। বারবার চেষ্টা করে থাকে শান্ত করা যায়নি। উল্টে অন্য পর্যটকদের অপমান করতে পিছপা হননি গায়ক। বাধ্য হয়ে ভোররাতের দিকে হোটেলের মালিক পুলিশে খবর দেন।
গোটা ঘটনায় ভীষণভাবে বিরক্ত হয়েছেন অভিনেত্রী মেহেরুবা সালসাবিল মাহমুদ। তিনি দাবি করেছেন, নোবেল যার সঙ্গে বান্দরবান গিয়েছিলেন তিনি একজন বিমান সেবিকা। এই বিমানসেবিকা নাকি হবেl কে মাদক সরবরাহ করেন।
বান্দরবান সদর থানার পুলিশ আধিকারিক মোঃ শহিদুল ইসলাম চৌধুরী বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, নোবেলের বিষয়ে আমরা হোটেল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়েছি। গোটা ঘটনাটি নিয়ে আমরা তদন্ত শুরু করেছি। বেআইনি কিছু প্রকাশ পেলে অবশ্যই আমরা আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করব।