বর্তমান পরিস্থিতিতে রোজগার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পাশে থাকার জন্য আর্জি জানালেন টলিউডের এই দাপুটে খলনায়ক

যে সময়ে প্রসেনজিৎ ঋতুপর্ণার জুটি হয়ে অভিনয় করছেন, যে সময় আমরা সিনেমা বলতে জানতাম বড় বউ ছোট বউ মেজ বউ, ঠিক সেই সময়ে আমরা ভিলেন বলতে একমাত্র চিনতাম সুমিত গঙ্গোপাধ্যায় কে। তার দুর্দান্ত অভিনয় দক্ষতা এবং তার চোখের চাহনি নিমেষে স্তব্ধ করে দিতে পারতে সকলকে। একের পর এক দুর্দান্ত সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি আমাদের। তবে আজ সেই ভাবে তাকে সিনেমার পর্দায় দেখতে পাওয়া যায় না।
মহামারীর জন্য অভিনেতা-অভিনেত্রীদের কাজ ইতিমধ্যে প্রায় বন্ধ হয়ে রয়েছে। আরো বন্ধ হয়ে গেছে যারা ছোট ছোট চরিত্রে অভিনয় করেন। তাই সম্প্রতি কিছু আক্ষেপ শোনা গেল এই অভিনেতার কথায়। সম্প্রতি ফেসবুক প্রোফাইলে একটি পোস্ট শেয়ার করে অভিনেতা লিখেছেন, মুখে কেউ কিছু বলছি না। তবে অবস্থা এখন খুবই খারাপ। কতদিন টানতে পারবো জানিনা। সত্যি আর চালানো যাচ্ছে না।
শিল্পীর মুখে এই রকম একটি কথা শুনে স্পষ্ট হয়ে যায় যে, লকডাউন উঠে গেল শিল্পীদের দুর্দশা এখনো কাটেনি। যারা দৈনিক ভিত্তিতে কাজ করেন তাদের অনেকেরই কাজ এখন বন্ধ হয়ে গেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও কত মানুষ সিনেমা হলে কি কেটে সিনেমা দেখবেন তা বলা মুশকিল। সিরিয়ালের আয় তবুও কষ্টে সৃষ্টে চলে যাচ্ছে। কোনরকমে সিরিয়ালের শুটিং করা গেলেও সিনেমার শুটিং একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে। বহু শিল্পী কাজ পাচ্ছেন না।
শিল্পীদের ভবিষ্যৎ কি হবে তা বলা যাচ্ছে না। শিল্পীদের আলাদা করে পিএফ অথবা পেনশন নেই তাই ভবিষ্যৎ চালানোর জন্য বেশিরভাগ শিল্পী কে বেছে নিতে হচ্ছে অন্য কোন বিকল্প। তাই ফেসবুকের মাধ্যমে এই শিল্পী সকলের কাছে অনুরোধ করেছেন, বিনোদন জগতের জীবনকে রূপকথার মতো চিন্তাভাবনা করবেন না। বাইরের চাকচিক্য শুধুমাত্র বাইরের, এর সঙ্গে বাস্তবের কোন যোগাযোগ নেই।
পাশাপাশি অভিনেতা আরও লিখেছেন, আপনারা প্রকাশ্যে কাঁদতে পারেন কিন্তু আমরা পারিনা। আমাদের জমানো টাকা খরচ আস্তে আস্তে শেষ হয়ে যাচ্ছে। অধিকাংশের বিপদ চরম। বেশিরভাগ শিল্পীরা বাড়ি ভাড়া দিতে পারছেন না অথবা তাদের কাছে এতোটুকু টাকা নেই, যে তারা দুবেলা-দুমুঠো খাবার পাবেন। অনেকে মুড়ি জল খেয়ে আছে। গ্লামার জগতের সব লোকজনের এক হাল।
প্রকাশ্যে কেউ মাথা নিচু করতে পারছেন না। এটাই গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ডের সবথেকে খারাপ দিক। তাই আপনাদের বলছি হাত বাড়িয়ে দিন একটু করে। কাউকে তাড়িয়ে দেবেন না। এক পাড়ায় অথবা এক বাড়িতে থাকলে পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করুন। একসাথে আমরা যদি একে অপরের পাশে দাঁড়াতে পারি তাহলে এই পরিস্থিতি একদিন ঠিক হয়ে যাবে।