বরকে স্কুটিতে বসালেন নববধূ , অতপর যা হলো

বলা হয়ে থাকে যে, স্বামী-স্ত্রী বিবাহিত জীবনের বাহনের দুই চাকা। দাম্পত্য জীবনের এই বাহনে স্বামী প্রায়সই এগিয়ে থাকে এবং স্ত্রী তাকে সমর্থন করে। কিন্তু এম.পি-র নিমুচে, বিয়ের মঞ্চে কনে স্কুটিতে বরের কাছে পৌঁছলে মানুষ অবাক হয়ে যায়।
আর বর স্কুটির পেছনে বসে হাসছিল। মনে হচ্ছিল যেন তারা ঠিক করে ফেলেছে, তাদের দাম্পত্য জীবনের গাড়িতে কখনো স্বামী এগিয়ে থাকবে আবার কখনো স্ত্রী। কখনো স্বামীর সমর্থনে স্ত্রী থাকবে, আবার কখনো স্ত্রীর সমর্থনে স্বামী।
আজকাল বিয়েতেও বিভিন্ন রকমের স্টাইল দেখা যায়। মানুষ যেমন নতুন কিছু করছে, তেমনই এর মাধ্যমে সমাজকেও কিছু বার্তা দিতে চাইছে। কিন্তু যখন একটি কনে তার বরের সাথে স্কুটি করে মঞ্চে পৌছলেন, তখন বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথি এবং আত্মীয়রা ফুল ছিটিয়ে নতুন দম্পতিকে স্বাগত জানালো।
এই সুন্দর ছবিগুলো ‘নেম অফ সিটি রোড’ এর কল্যাণেশ্বরী মন্দির এ অবস্থিত বিবাহস্থলের। যেখানে 16 জানুয়ারি নিমুচে বসবাসকারী বালমুকুন্দের মেয়ে নীলুর সাথে বিয়ে হয় অর্জুনের।
শোভাযাত্রার শেষে কনে তার বাড়ি থেকে অ্যাক্টিভা স্কুটিতে কল্যাণেশ্বরী মন্দিরের সিটি রোডে পৌছায়। অ্যাক্টিভা থেকে কনেকে আসছে দেখে সবাই হতবাক। বিয়ের স্থানে পৌঁছে কনে দেখতে পেল যে, বর গেটে অপেক্ষা করছে এবং সেই সাথে বর কনের স্কুটির পেছনের সিটে বসে।
কনের পরিবার জানিয়েছে, কনে নীলু তার টু হুইলারে বিয়ের মঞ্চে যেতে চেয়েছিল। পরিবার সঙ্গে সঙ্গে তার কথা মেনে নেয়। কিন্তু শ্বশুরবাড়ির লোকজনের থেকে তখনো সম্মতি নেওয়া হয়নি। তারপর বর অর্জুন ও তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা হয়।
সবাই নীলুর মনের ইচ্ছা পূরণ করতে রাজি হল এবং এরপর বর-কনে ঢাকঢোল নিয়ে অ্যাক্টিভা করে মঞ্চে পৌঁছান। বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন সবাই তার পেছনে নেচে উঠেছিল। কনের ভাই রাজেশ জানান, “আমরা ধোঁয়ায় প্রবেশের কথা ভেবেছিলাম, কিন্তু সময়মতো পরিকল্পনা পাল্টে অ্যাক্টিভার মাধ্যমে প্রবেশ করানো হয়।”