ফ্যাশনের নামে থুতু ছিটিয়ে হেয়ার স্টাইল করতে গিয়ে শ্রীঘরে জাভেদ হাবিব! ভিডিও তুমুল ভাইরাল

বিখ্যাত হেয়ার স্টাইলিস্ট জাবেদ হাবিবকে সকলেই চিনে থাকবেন। মফস্বল থেকে শুরু করে বড় শহর সর্বত্রই তার নামের ব্যানার আপনারা দেখতে পাবেন। আপনাদের মধ্যে অনেকে হয়তো জাবেদ হাবিব এর ফ্রেঞ্চাইজ পার্লার গিয়েও থাকবেন। আজ আমরা এই জাবেদ হাবিব এর বিষয়েই কথা বলব।

সম্প্রতি জাবেদ হাবিব এর একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এই ভিডিওটিকে ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। অনেকেই জানেন বড় বড় স্টাইলিস্ট-রা বছরে এক বা একাধিকবার ওয়ার্কশপ করে থাকেন। এইসব ওয়ার্কশপে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ যায় কিছু শিখতে, নতুন কিছু জানতে। এমনই এক ওয়ার্কশপ সম্প্রতি করেছিলেন জাবেদ হাবিব। এই ওয়ার্কশপে অনেক বিউটিশিয়ান-রাও এসে ছিলেন।

এই ওয়ার্কশপের একপর্যায়ে তিনি কীভাবে জলের অভাবে চুলের যত্ন নেওয়া যায় তা শেখানোর জন্য উত্তরপ্রদেশের বাগপথের তরুণী পূজা গুপ্তা কে মঞ্চে ডাকেন। পূজা নিজেও একজন পার্লারের মালকিন। জাবেদ হাবিব এর কথা মতো তিনি তার সামনে একটি চেয়ারে বসেন। এরপরই জাবেদ হাবিব একটি গা ঘিনঘিনে কাজ করে বসেন। তিনি পূজার চুলে থুতু ছিটিয়ে দেন।

পূজা জানান সেদিন তার চুলে শ্যাম্পু করা ছিল না। কিন্তু জাভেদ হাবিব এর আমন্ত্রণে তিনি এক্সাইটেড হয়ে মঞ্চে যান। অল্প জলেও কীভাবে চুলের যত্ন নেওয়া যায় তা নিয়ে বলতে শুরু করেন জাবেদ হাবিব। আর হঠাৎই তার চুলে থুতু ছিটিয়ে দেন। এমন গা ঘিনঘিন এ পরিস্থিতিতে পূজা বসে থাকতে পারেননি। সঙ্গে সঙ্গে চেয়ার ছেড়ে উঠে যান তিনি। পূজা বলেছেন রাস্তার ধারের কোন পার্লারে যাবেন তাও কোনদিন জাবেদ হাবিব এর কাছে চুল কাটাতে যাবেন না।

তার এই ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই শুরু হয়েছে বিতর্কের ঢেউ। তার বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে থানায়। যদিও প্রকাশ্যে একটি ভিডিও-র মাধ্যমে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন জাবেদ হাবিব। জাবেদ হাবিব এর মতে তার প্রতিটি ওয়ার্কশপ অনেকটা সময় ধরে চলে। যাতে পার্টিসিপেন্ট-রা বোর না হয়ে যান তাই মাঝে মধ্যে হালকা-ফুলকা মজার পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়। আর এই কাজটিও তিনি মজার জন্যই করেছিলেন।

জাবেদ হাবিবের এই হেন কথা শুনে আরও বিরক্ত হয়েছেন নেট-নাগরিকেরা। তাদের মতে থুতু ছেটানো কখনোই মজার হতে পারে না। আর তিনি যদি মজার ছলে করেও থাকেন তা অত্যন্ত জঘন্য ছিল। এই প্রসঙ্গে আপনাদের মতামত আমাদের জানাতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button