পেট্রোল ডিজেলের মূলবৃদ্ধির বাজারে এমন এক সাইকেল বানিয়ে তাক দিলেন এক কলেজ পড়ুয়া।

সৌর বিদ্যুৎ কে কাজে লাগিয়ে এর আগে মানুষ বহু নতুনের সৃষ্টি করেছে, যেমন এর আগে আমরা জেনেছি যে, সৌরবিদ্যুৎ কে কাজে লাগিয়ে কিভাবে অ্যাপেল পার্ক তার নিজস্ব অফিস বিনা এসি ছাড়াই শীতল রাখতে পারে শুধুমাত্র তাই নয় , এ সমস্ত কিছুই তারা প্রাকৃতিক ভারসাম্যর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই করেছে। তাদের অফিস আধুনিক টেকনোলজিতে সাজিয়েছেন, কোনটাই পরিবেশের ভারসাম্য কে নষ্ট করে করেননি তারা।

মূল ভবনের ছাদে ও পার্কিং স্পেস এর ছাদের ওপর পুরোটাই সোলার প্যানেল করা আছে, যা দিয়ে পুরো অফিসেরই বিদ্যুৎ সরবরাহ এর উৎস। তাই এবারে তামিলনাড়ুর মাদুরাইয়ের এক কলেজ ছাত্র শুধুমাত্র সৌর বিদ্যুৎ কে কাজে লাগিয়ে এমন একটি সাইকেল তৈরি করেছেন, যা সবাইকে তাক লাগিয়ে দেওয়ার মতো। এহেন প্রতিভার অভাব নেই আমাদের দেশে খুঁজলে এমন বহু প্রতিভার খোঁজ মিলতে পারে ছাত্রটি নাম ধনুশ কুমার, তার দাবি এটাই যে মাত্র ১.৫ টাকা খরচ করে সাইকেলটি যেতে পারে ৫০ কিমি। ঘন্টায় যার গতিবেগ ৩০ কিলোমিটার, একবার এই সাইকেলটি চার্জ দিলেই খুব সহজেই কুড়ি কিমি যাওয়া যাবে।

সাইকেলটি তৈরি করতে ব্যবহার করা হয়েছে কুড়ি ওয়াটের সোলার প্যানেল ও ১২ ভোল্টের একটামাত্র ব্যাটারি। নিজের মেধাকে কাজে লাগিয়ে সে যা সৃষ্টি করেছে তা ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়া আলোড়ন সৃষ্টি করেছে ইতিমধ্যে এই সাইকেলটি অনেকেরই নজর কেড়েছে। এই নজর কাড়ার অন্যতম একটি প্রধান কারণ হলো, যেভাবে পেট্রোল ডিজেলের দাম ঊর্ধ্বমুখী তাতে মানুষ এখন চাইছে স্বল্প খরচে এমন যান। কিন্তু মানুষ অসহায় হয়ে বহু টাকা ব্যয় করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করতে যাচ্ছে দূর-দূরান্তে। করোনা আবহে গত দু’বছর ধরে অনেক মানুষই হয়ে পড়েছেন কর্মহীন। এমতাবস্থায় তাদের জীবিকা বাঁচিয়ে রাখা ও প্রাণ বাঁচিয়ে রাখা দুটোরই দরকার হয়ে পড়েছে। মাঝেমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে জীবন আগে নাকি জীবিকা আগে ? যদিও এ প্রশ্নের উত্তর মেলেনি।

জীবিকা বাঁচিয়ে রাখার জন্য মানুষকে প্রচুর অর্থ ব্যয় করে হলেও তাদের গন্তব্যে পৌঁছতে হচ্ছে কারন এখানে তাদের পেটের টান পড়ছে, পরিবারের দায়িত্ব আছে। এমতাবস্থায় সাইকেলটি যদি বাজারে আসে তাহলে যথেষ্ট চাহিদা বাড়বে বলে মনে হয় এবং যেভাবে পেট্রোপণ্যের দাম বাড়ছে তাতে মোটরবাইক প্রেমিক দেরও মাথায় হাত পড়ার উপক্রম। ইতিমধ্যেই পেট্রোপণ্যের দাম সেঞ্চুরি করেছে। আগামী দিন আরো কত বাড়তে পারে তার কোনো ধারণাই মানুষ করতে পারছ না। তাই এই ভয়াবহতা কাটাতে এই সাইকেল মানুষের কাছে প্রয়োজনীয় হয়ে উঠবে বলে মনে হয় বিশেষজ্ঞদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button