পান্তা ভাতের রেসিপি রান্না করে অস্ট্রেলিয়ায় একটি কম্পিটিশনে মন জয় করেছিলেন বাঙালি এই মাস্টার্স সেফ।

বাঙ্গালীদের জীবনে পান্তাভাতের গুরুত্ব এবং স্বাদ যে কতটা মারাত্মক তা একমাত্র বাঙালিরাই জানে। বাঙ্গালীদের কাছে পান্তাভাত হলো একটা ইমোশনের মত, যা প্রত্যেকটা বাঙালির পরিচয় বহন করে। পান্তা ভাতের স্বাদ একবার যে পেয়েছে সে হয়তো বারবার পেতে চাইবে। পান্তা ভাত যা, একদম সাধারন একটি খাবার যা সমাজের নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত,উচ্চবিত্ত সকলেরই একটি ভীষন পছন্দের একটি খাবার। এই পান্তাভাত যেখানে সমাজের সকল শ্রেণীর মানুষকে একত্রিত করতে হয়তো সাহায্য করে। তবে, এই পান্তা এখন দেশের বাইরে তার বিশেষ একটি পরিচয় স্থাপন করল।

বাঙ্গালীদের পছন্দের একটি খাবার যা, বিশেষ গুরুত্ব পেল দেশের গণ্ডির বাইরে। অস্ট্রেলিয়ার মাস্টারশেফ রিয়েলিটি শো তে দীর্ঘ তিন মাস ধরে চলছিল এই রান্নার কম্পিটিশন এবং সেখানে ৩৮ বছর বয়সের তরুণী কিশোয়ার চৌধুরী যিনি পান্তা ভাত দিয়ে এমন একটি রেসিপি তৈরি করলেন যা সেখানে সমস্ত বিচারকদের মন জয় করে নিল। বাঙালির এই সন্তান ১৪৪ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে। তার রান্না করার রেসিপি গুলিতে ছিল পান্তা ভাত, আলুভর্তা এবং সার্ডিন মাছ ভাজা। দেশের বাইরে এরকম একটি রিয়েলিটি শোতে বাঙালি রান্না দিয়ে বাজিমাত করলেন তিনি।

কিশোয়ার দুই সন্তানের মা এবং একজন সফল বিজনেস ডেভলপার। তিন মাস ধরে এই রিয়েলিটি শোটি চলেছিলেন এবং এই বাঙালি তনয়ার সাথে এই রিয়েলিটি শোতে পাশে ছিলেন তার চার বছরের শিশুকন্যা এবং ১২ বছরের পুত্র এবং তার জীবন সঙ্গী। কিশোয়ার জন্ম এবং বড় হয়ে ওঠা অস্ট্রেলিয়ার মেলবার্নে। কিশোয়ার একটি সংবাদ মাধ্যমেকে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন এবং তিনি সেখানে জানান,তার বাবার বাড়ি ঢাকার বিক্রমপুরে এবং মা ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানের বাসিন্দা। এখন থেকে প্রায় ৫০ বছর আগে দুজনে মিলে অস্ট্রেলিয়াতে চলে এসেছিলেন।

 

View this post on Instagram

 

A post shared by MasterChef Australia (@masterchefau)

তার মা-বাবার বাড়ির পরিবেশটা ছিল একদমই বাঙালিয়ানার মত। মায়ের থেকে বাঙালিয়ানার সমস্ত সংস্কৃতি-ঐতিহ্য গুলি পেয়েছে এবং সেগুলো নিজের মধ্যে এক এক করে গেঁথে নিয়েছে। দেশের বাইরের এরকম একটি রিয়েলিটি শোতে আমাদের বাঙালির প্রিয় সাধারণ ঘরের খাবার লাউ চিংড়ি, আলু ভর্তা, বেগুন ভর্তা, মাংসের কালাভুনা, আমের টক, ফুচকা, চটপটির মত অসংখ্য খাবারগুলি দিয়ে ওই রিয়েলিটি শোএর বিচারকদের মন জয় করেছেন বাঙালি এই কন্যা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button