কাজের কোনো জাত হয় না, আর একবার প্রমাণিত করলেন এই স্কুল শিক্ষিকা, জানলে অবাক হবেন

করণা বিগত দুবছর ধরে মানুষের জীবনে নিজের দাপট চালিয়ে যাচ্ছে অনবরত, অবিরাম। যে কারণে জনজীবন স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে এক প্রকার এবং তার সাথে আর মর্মান্তিক পরিণতি হচ্ছে।

কর্মহীন হয়ে পড়েছেন বহু ব্যক্তি বহু, আপনজনকে হারাতে হয়েছে এ করোনার ফলে। অনেক পরিচিত মুখ হারিয়ে গেছে চিরন্তন অন্ধকারে। করোনা গ্রাস করেছে তাদের, সে ব্যথা আমরা অনুভব করতে পারি। হাজারো হাজারো মৃতদেহ যেখানে গণ চিতা জ্বলছে দেখেছি আমরা সেই দৃশ্য। করোণা থেকে রেহাই পায়নি কেউই। বর্তমানে চিকিৎসক বিজ্ঞানীরা মনে করছেন আগামী দিনে আবারো করণার তৃতীয় ঢেউ আসতে চলেছে। যার প্রভাবে প্রভাবিত হতে পারে শিশুরাও।

তবেই এই শিশুরাই যারা একসময় স্কুল যেত, রোজকার রুটিন ছিল বাঁধাধরা জীবন ছিল, সেই চেনা জানা রুটিন থেকে তাদের জীবন এখন ছন্নছাড়া হয়ে গেছে। সবটাই এখন অনলাইন ক্লাস, যে কারণে আমরা দেখেছি স্কুল দীর্ঘ দুই বছর ধরে বন্ধ। স্কুল যাওয়া ছেলে মেয়েরা ভুলে গেছে প্রায়, সবটাই অনলাইনের মাধ্যমে চলছে। যদিও এতে ডিজিটাল মাধ্যম যথেষ্ট উন্নতি লাভ করেছে কিন্তু এখানে পড়াশোনায় আগামী দিন ছাত্র-ছাত্রীদের যে আদৌ কতটা উন্নতি হবে তা ভাবনার বিষয়।

তবে এই স্কুল বন্ধের জন্য বহু শিক্ষকের চাকরি চলে গেছে। তেমনই এক ঘটনা ভুবনেশ্বর এর বাসিন্দা স্মৃতিরেখার, তিনি পেশায় একজন স্কুল শিক্ষক ছিলেন এক নার্সারী স্কুলে টিচারই করতেন। করোণার জেরে স্কুল বন্ধ হয়ে যায় এবং তার সাথে তিনি তার চাকরিটা হারান। কিন্তু মানুষের পেট এসব কিছু বোঝেনা, এই পেটের দায়ে মানুষ এত পরিশ্রম করে। স্মৃতিরেখার পরিবারেও দুই সন্তান স্বামী ছাড়াও আরো একজন সদস্য রয়েছে, তাদের দায়িত্ব পালনের জন্য স্মৃতিরেখা কে কাজের সন্ধানে বের হতে হয়েছে।

অনেক ভেবে তিনি সেখানকার নগর নিগম অফিসে যোগাযোগ করেন এবং মু সাফাই কর্মীর কাজে যোগদান করেন এখন তিনি নোংরা বহনকারী ট্রাকের ড্রাইভারি করেন। সৎ পথে তিনি রোজগার করতে চেষ্টা করেছেন, এটাই অনেক। তার এই আয়টি তার পরিবারের জন্য অনেকটা স্বস্তির, কারণ যে সময় তার চাকরি চলে যায় সেই সময় তার স্বামীর আয়ও বন্ধ হয়ে যায়। ফলে পারিবারিক দায় দায়িত্ব পালনের জন্য তাঁকে এ চাকরি করতে হয়, তবে এখানে একটা কথাই বলা যায়, কোন কাজই ছোট নয়। কোন কাজ কেই নীচ ভাবে দেখা উচিত না, সৎ পথে থেকে আয় করাটাই হল আসল কথা, সেটি করেছেন স্মৃতি রেখা , যা যথেষ্ট প্রশংসাযোগ্য। কারণ যখন চারিদিক থেকে মানুষ বিপদে পড়ে সেই সময়েই মাথা ঠান্ডা রেখে মানুষকে পদক্ষেপ নিতে হয়, আর সেটিই করে দেখিয়েছেন স্মৃতিরেখা, যা অনেকেই পারেন না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button