এক সময় চোরেদের পিছনে দৌড়ছে, এবার তিনি অলিম্পিকে দৌড়ে ছিলেন ,জানেন ইনি কে?
এবার পরিচয় করুন পি নাগানাথনের সঙ্গে যিনি একজন খুবই সাধারণ পরিবারের ছেলে ছিলেন । নিজের জীবনের প্রচেষ্টায়, তিনি আজ এতটা সাফল্য পেয়েছেন। যিনি বর্তমানে টোকিও অলিম্পিক এ অংশও নিয়েছিলেন।
দারিদ্রতা তাকে থামাতে পারেনি, এই নাগানাথনের বাবা ছিলেন একজন দিনমজুর, বিভিন্ন নির্মাণ কাজের জায়গা এবং মাঠে-ঘাটে কাজ করতেন। মা ছিলেন গৃহিনী, যিনি পরিবার সামলাতেন। নাগানাথনরা চার ভাইবোন ছিলেন, তাদের পরিবারে আর্থিক কষ্ট ছিল নিত্যদিনের সঙ্গী, সেই সময় ২৫ বছর বয়সী এই নাগানাথন পরিবারের জন্য সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও শ্রমিকের কাজ করতেন,যাতে পরিবারকে কিছুটা সাহায্য করা যায়।
তবে এসবের মধ্যেও তিনি নিজের লক্ষ্যে স্থির ছিলেন, ছোটবেলা থেকেই স্কুলে দৌড়াতেন। এমনকি তার পায়ের জুতো কেনার পয়সা ছিল না তখন, তবু তিনি থামেননি। সেই খালি পায়ে পনেরশো মিটার দৌড়ে ছিলেন, এই দৌড় প্রতিযোগিতায় যখন তিনি জেলা থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন সেই সময় তাঁর স্কুল থেকে তাকে একটি জুতো দেয়া হয়। ইতিমধ্যেই টোকিও অলিম্পিক ৪* ৪০০ মিটার রিলে রেসে অংশ নিতে চলেছেন। নাগনাথন যিনি ভারতের মুখ উজ্জ্ব করতে চলেছেন।
তার সঙ্গে প্রতিযোগী হিসেবে থাকবেন ত্রিচের আরকিয়ারাজ, আর আজ দিল্লির আমোজ জ্যাকব কে কেরালার মোহাম্মদ আনাস। নাগনাথন হলেন ইতিহাসে গ্রাজুয়েট,তবে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার মতো সামর্থ্য তার ছিল না। এমনকি কলেজে পড়াকালীন কলেজের ফি জমা দেবার সামর্থ ছিলনা তাঁর। তাই কলেজ পড়ার পাশাপাশি পার্টটাইম চাকরিও করতেন। তবে খেলাধুলায় যেহেতু তার দুর্দান্ত পারফরম্যান্স থাকত, তাই কলেজ কর্তৃপক্ষ তার কলেজ কর্তৃপ্ক্ষ ফিও মুকুব করে দিতেন।
তবে তিনি বর্তমানে খেলাধুলার মাধ্যমে পুলিশের চাকরি করেন। ২০১৭ সালে তিনি এই স্পোর্স কোটা থেকে পুলিশে নিয়োগ হন এবং ২০১৯ সালে অল ইন্ডিয়া পুলিশ মিলে স্বর্ণ পদকও জেতেন। তবে তাঁরই দৌড় প্রতিযোগিতায় সব সময় ভালো পারফর্মেন্স এর পেছনে ছিল তাঁর কঠোর পরিশ্রম। সকাল ছটায় চেন্নাই পুলিশ গ্রাউন্ডে পৌঁছানো এবং আটটা পর্যন্ত নিজেকে ট্রেইন করা, ওয়ার্ম আপ করা নিজেকে, এক্সারসাইজ, ওজন তোলা সমস্ত কিছু প্র্যাকটিস করা। এমনকি রেসের আগে রোড রেস করতেন। এমনকি তিনি স্পাইক যুদ্ধ গুলির মধ্যে দৌড়, পাওয়ার র্ট্রেক করতেন।
বোঝাই যায় নিজেকে যথেষ্ট অনুশীলনের মধ্যে রাখতেন, যার ফলে জীবনের সাফল্য আসে। পুলিশের চাকরির পাশাপাশি নিজেকে ট্রেন করতেন, তাই জন্য জাতীয় পর্যায়ে পদক জয়ের পর, সিনিয়র পুলিশ আধিকারিক ই তাকে প্রশিক্ষণের দিকে বেশি করে মনোনিবেশ করতে বলেছিলেন। যে কারণে নাগানাথন ও তার পরবর্তী লক্ষ্যে এগিয়ে চলে, তার পরবর্তী লক্ষ্য হলো এশিয়ান গেমস ও কমনওয়েলথ গেমসে অংশগ্রহণ করা, সেরার শিরোপা তার মাথায় তোলা যা তিনি বরাবরই পেয়ে এসেছেন।