একাধিক পশুর আওয়াজ নকল করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল এই ক্ষুদে, তার এই অবিশ্বাস্য গুন দেখে অবাক নেটমহল

আজকাল যেন একটা ট্রেন্ড চলছে যার যা প্রতিভা আছে সব সোশাল মিডিয়ায় দিলেই রাতারাতি লোকের কাছে পরিচিত মুখ হওয়া যায়। হয়ত সেটা রানাঘাটের সুগায়িকা রানু মন্ডল কে দেখে অনুপ্রানিত হয়েছে সবাই। সোশাল মিডিয়া হয়ে উঠেছে একটা প্ল্যাটফর্ম যেখানে নিজের প্রতিভার প্রকাশ করে নিজেকে ফেমাস করা যায়। কিন্তু বর্তমানে রানু মন্ডলের কি অবস্থা তা আমরা সবাই জানি।
তিনি যা ছিলেন সেই অবস্থাতেই ফিরে এসেছেন। তাই সবাই লতার মতো গলা থাকলেই যে লতার সম্মান পায় না তার জলজ্যান্ত প্রমান আমাদের প্রিয় রানুদি। এমন তো আমরা আগেও দেখেছি একজন মানুষ অনেকের মিমিক্রি করতে পারেন তাহলে তারা সবাই শিল্পী? এভাবে শিল্পীর গুণগতমান যাচাই হয়না, তাহলে আমি আপনি প্রত্যেকেই শিল্পী প্রত্যেকের মধ্যেই কিছু না কিছু সত্তা আছেই। আমরা প্রত্যেকেই ইউনিক একে অপরের থেকে আলাদা।
মানুষ বর্তমানে এত সোশাল মিডিয়ার স্রোতে গা ভাসিয়েছে যে নিজেকে উজার করে দিচ্ছে সোশাল সাইটে। প্রতি মুহুর্তের আপডেট দেওয়াও একটা ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে। ছোট্ট সমাপন তার প্রতিভার প্রকাশ তার ভিডিও র মাধ্যমে করছে ঠিক ই আমরা তা উপভোগও করছি ট্রোল করছি কিন্তু এতে তার ভবিষ্যতের পথ কি খুব সুগম হবে? এতে কি কারোর ভবিষ্যৎ হয়? নিঃসন্দেহে ছেলেটি দারুন ভাবে গলা অনুকরণ করছে। আমরা গানের প্রতিযোগিতায় শুনি ছেলে ও মেয়ের কন্ঠস্বর একজনই করছে।
আমরাও অনেকে অন্যের গলা নকল করি যাকে বলে মিমিক্রি। এগুলো হামেসাই দেখা যায় তাবলে তা সোশাল মিডিয়ায় এতো চর্চিত হবার কিছু নয়। এগুলো নিয়ে মজা আর টাইম পাস ছাড়া আর কিছুই নয়। বতর্মান যুগে সবই দেখনদারির, কে কতটা নিজেকে দেখাতে পারলো ও দেখাচ্ছে আমিও দেখাবো। প্রতিযোগিতাই এখন এমন মুখ্য হয়ে উঠেছে। প্রকৃত শিক্ষায় কজন শিক্ষিত হতে পারছে? এই সব নিয়ে বাবা মায়েরাও ব্যস্ত প্রতিনিয়ত তার সন্তান কে কিভাবে সোশাল মিডিয়ায় আপডেট দেওয়া যায়।।