এই ফুটফুটে বাচ্ছা মেয়েকে নিয়ে কবরে শুতে যায় বাবা , কারণটা জানলে কেঁদে ফেলবেন

এই ফুটফুটে বাচ্ছা মেয়েকে নিয়ে কবরে শুতে যায় বাবা , কারণটা জানলে কেঁদে ফেলবেন, বাবা মা এর সম্পর্ক হলো পৃথিবীতে সবচেয়ে মধুর সম্পর্ক, সব বাবা মা ই চায় তার সন্তান যেন ভালো থাকে,আর সন্তানের কাছে বাবা-মা ভগবানের মতো হয়। যদি কোন মেয়েকে জিজ্ঞেস করা হয়, কেমন পাত্র পছন্দ? তাহলে মেয়েদের কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি যে উত্তরটি শোনা যায় তা হল `বাবার মতো’। জন্মের পর মেয়েরা প্রথম পুরুষের সান্নিধ্য পায় বাবার মাধ্যমে। এরপর বেড়ে ওঠার সময়টুকুতে বাবার থাকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।

কিন্তু যদি এমন শোনেন যে, মেয়ে খুব শীঘ্রই মারা যাবে তাই বাবা মেয়েকে নিয়ে দিনের পর দিন কবরে সময় আটাচ্ছে যাতে তার মৃত্যুর পর একাকীত্ব না বোধ হয়, তাজলে বুকের বাঁ দিকে একটা কষ্ট হয়। এটা সত্যিই ঘটেছে, আসুন জেনে নিই বিস্তারিত।দুই বছরের মেয়ে ঝাং জিনলে। শিশু বয়সেই ধরা পড়েছে পারিবারিক দুরারোগ্য থ্যালাসেমিয়া। ঘনঘন রক্ত পরিবর্তন না করা হলে যাতে মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী। তাই ঘনঘন রক্ত পরিবর্তন করতে হয় তার। তার বেঁচে থাকারও নিশ্চয়তা কম।

চিকিৎসকরাও জানিয়েছে, শিশুটি বেশিদিন বাঁচবেন না। যে কোন সময় তার মৃত্যু হতে পারে।প্রকৃতির ডাকে কখন যে বিদায় দিতে হয়, তা তো বলা যায় না। তাই মৃত্যুর আগে থেকেই মেয়েকে নিয়ে কবরে সময় কাটাচ্ছেন বাবা, যাতে মৃত্যুর পর মেয়ে যেন একটুও বাবাকে ছাড়া একাকিত্ববোধ না করে। মেয়ে ঝাং জিনলেই দুরারোগ্য থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত, তাই বাবা ঝাং লিইওং তাকে বাঁচাতে নিজের সর্বস্ব দিয়ে চেষ্টা করেও ব্যর্থ। তাই এখন থেকেই সন্তানকে বিদায় দেয়ার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন বাবা।

ঝাং লিওং বলেন, তার মেয়ের চিকিৎসার জন্য নিজের সব অর্থ খরচ করে ফেলেছি। ১ লাখ ৪০ হাজার ইউয়ান খরচ করেছি। অনেক অর্থ ঋণ করেছি। কিন্তু তারপর ও আশা নেই কোন। তাই তাকে প্রতিদিন সেখানে খেলতে নিয়ে আসছি, যেখানে সে চিরনিদ্রায় শায়িত হবে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ঝাং কবরে জিনলেইকে কোলে নিয়ে শুয়ে আছেন।আবার অনেক ইন্টারনেট ব্যবহারকারী এই ঘটনার সমালোচনাও করেছেন। একজন লিখেন, এটা আমার কাছে প্রহসনের মত মনে হয়েছে। শিশুটি নির্দোষ, এমনভাবে তাকে কবরে নিয়ে যাওয়া ঠিক না। এতে তার মানসিক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button