অবাক কান্ড, ৫৫ বছর যমুনা নদী এক সপ্তাহের জন্য শুকিয়ে গিয়ে ছিলো

উত্তর ভারতের এক অন্যতম প্রধান নদী হল যমুনা নদী, যার দৈর্ঘ্য ১৩৭৬ কিলোমিটার, উৎস স্থল হল মধ্য হিমালয়ের বান্দার পুচ পর্বত শৃঙ্গের দক্ষিণ-পশ্চিম পাদদেশে অবস্থিত যমুনোত্রী হিমবাহের 6387 মিটার উচ্চতায়।
তবে এই নদী এলাহাবাদের ত্রিবেণী সঙ্গমে গঙ্গা নদীর সঙ্গে মিলিত হয়েছে। গঙ্গা যমুনার মিলনস্থল এ প্রতি
১২ বছর অন্তর কুম্ভ মেলা আয়োজিত হয়। যমুনা নদী উত্তরাখান্ড হরিয়ানা উত্তর প্রদেশ রাজ্যের মধ্য দিয়ে ও হিমাচল প্রদেশ, দিল্লির পাশ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। তবে যমুনার দীর্ঘতম বৃহত্তম উপনদী হল টোনস। এছাড়াও যমুনার অন্যান্য উপনদী গুলি হল সিন্ধ,বেতোয়া, কেন ও চম্বল।
গঙ্গা-যমুনা হিন্দু ধর্মের একটি পবিত্র নদী বলে বিবেচিত হয়। হিন্দুরা যমুনাকে দেবী যমুনা জ্ঞানে পূজা করেন। হিন্দু পুরাণ অনুসারে যমুনা সূর্যের কন্যা ও মৃত্যুর দেবতা যমের ভগিনী। হিন্দুরা বিশ্বাস করে যমুনার পবিত্র জল মৃত্যু যন্ত্রণা থেকে মানুষকে নিস্তার দেয়। এই যমুনা নদীর তীরেই আগ্রার তাজমহল অবস্থিত, তবে আমরা অনেকেই জানি না যে, দিল্লির জল সরবরাহ ব্যবস্থার ৭০ শতাংশই আসে যমুনা নদী থেকেই। হায়দারপুর এর কাছে ট্রিটমেন্ট প্লান্ট থেকেই দিল্লির পৌর জল সরবরাহ ব্যবস্থা। এর পর এতে যমুনা নগর ও পানিপথ শহরের বর্জ্য জল এখানে মিশ্রিত হয়। তারপর শূন্য যমুনা নদী আবার পূর্ণ হয়েছে বিভিন্ন ঋতুগত জলধারা ও ভৌম জলের উৎস থেকে। শুষ্ক ঋতুতে তাজে ওয়ালা থেকে দিল্লী পর্যন্ত যমুনা অনেকাংশ শুকনো থাকে, এরপর ২২৪ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে যমুনা প্রবেশ করে পাল্লা জেলায়।
তবে বর্তমানে যমুনা নদী অতিরিক্ত মাত্রায় দূষিত হচ্ছে এই দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হল গার্হস্থ্য ও পৌর বর্জ্য ভূমি কৃষির জন্য বনসৃজন এর ফলে ভূমিক্ষয় এবং বিভিন্ন কৃষি ও শিল্প ক্ষেত্রে থেকে বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ নির্গমণ। তবে এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি খবরে সবাই হতবাক হয়ে যায় যা, ৫৫ বছর এই প্রথম এই যমুনা নদীই সপ্তাহখানেক এর মধ্যে শুকিয়ে গেছে। যেখানে প্রায় ৮ থেকে ৯ ফুট জলস্তর দেখা যেত এবং সেই জলে যে বিষাক্ত ফোম দেখা গিয়েছিল, সেই নদী আজ মৃতপ্রায়। যা অবাক করার মতই একটি ঘটনা। কিন্তু এটাই সত্যি যা বাস্তবে ঘটেছে এমন ঘটনা আগে কখনো ঘটেছিল বলে কারোর মনেও নেই। ইতিমধ্যেই এই বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়ায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে এই খবরটি।