অনলাইন অ্যাপের মাধ্যমে শিক্ষাদান করে বছরে ৫ কোটি টাকা উপার্জন করে ১ কোটি টাকা Tax দেয় এই ব্যাক্তি, জানেন ইনি কে?

বিগত দু’বছর ধরে মানুষের জীবনে তাণ্ডবলীলা চালাচ্ছে ক-রোনাভা-ইরাস। যার ফলে জনজীবন স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল, দুই হাজার কুড়ি সাল থেকে দীর্ঘ দিন লকডাউন এর জেরে মানুষ ঘর বন্দী দশা কাটিয়েছে, হঠাৎ যেন পৃথিবী থমকে গেছে এক লহমায়। এই কোভিদ নাইনের প্রভাবে বহু প্রিয়জনকে হারাতে হয়েছে আমাদের। মাঝেমধ্যেই এ করোনার গ্রাফ শীর্ষে পৌঁছে যায়, আর তখনই মানুষের জনজীবন স্তব্ধ হয়ে পড়ে।
মানুষ বাধ্য হয় ঘর বন্দী দশা কাটাতে, এ ঘর বন্দীদশার ফলে ছেলেমেয়েদের শিক্ষার ক্ষেত্র এক স্তব্ধতা এসে গেছে। একের পর এক শিক্ষাবর্ষ নষ্ট হতে বসেছে, কিন্তু এরই মাঝে আস্তে আস্তে গড়ে উঠেছে অনলাইন ক্লাস। অনলাইন বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে শিক্ষকরা ছাত্রদের শিক্ষা দান করছেন, তেমনি রাজস্থানের আলওয়ারে বাসিন্দা অঙ্কিত কুমার অবস্তি, যিনি একটি অনলাইন অ্যাপ করেছেন, যেখানে তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা দান করেন এবং তা থেকে তার বছরে আয় ৫ কোটি টাকা।
আয় সংখ্যাটি নেহাত কম নয়? তাই আয়করও দিতে হয় তাঁকে এক কোটি টাকা। অথচ এই সমস্ত কিছু অ্যাপে ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষাদানের মধ্যে তার খরচ হয় মাত্র চার লাখ টাকা। নিজের বুদ্ধির মাধ্যমে নিজের রোজগার কিভাবে করা যায় এবং তার সাথে ছাত্রছাত্রীদেরও সাহায্য করা যায় তাদের ভবিষ্যৎ গড়ার ক্ষেত্রে, এটি হয়তো বুদ্ধিমান লোক এদের পক্ষে সম্ভব এই অবস্থায়। মাত্র ১৯ বছর বয়সে এমএসসি করেছিলেন, কুড়ি বছর বয়সে তিনি গেট পরীক্ষায় ৪১ তম স্থান অর্জন করেছিলেন। এমনকি ২০১০ সালে কানপুরের আইআইটি থেকে এমটেক করার পর ২০১১ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত কোটা বানসালে বিভাগীয় প্রধান ছিলেন
তিনি বিগত দুই বছর ধরে যখন শিক্ষা মাধ্যম হয়ে উঠেছে অনলাইন, সেই মাধ্যমটিকে তিনি হাতিয়ার করলেন। প্রায় ৫০০ কোটি টাকার প্যাকেজ তৈরি করেছেন, তিনি ১৮% ভিত্তিতে সরকার কে প্রায় ১ কোটি কর দেন এবং তার প্রতিটি বক্তব্যে বিভাগ সংখ্যা দাঁড়ায় একদিনে ১০ লক্ষ, যা চিন্তা ভাবনার বাইরে। কিন্তু তার বিনিময়ে তিনি দারিদ্রসীমা থাকা বাচ্চাদের থেকে ফি নেন মাত্র 200 টাকা। এর মাধ্যমে চেষ্টা করছেন আর এ এস এর মত পরীক্ষায় যাতে তারা উত্তীর্ণ হতে পারে, জীবনে যেন তারা বড় অফিসার হতে পারে। তাই তিনি ২৮ জনের এই দল গঠন করেছেন, যারা প্রতিনিয়ত এই কাজ চালিয়ে যেতে সাহায্য করছেন তাকে।