অটোচালকের জরিমানা দিতে ছেলে মাটির ভাঁড়ের জমানো টাকা নিয়ে থানায় হাজির! পুলিশ অফিসারের হৃদয় স্পর্শ করে, তিনি নিজেই টাকা দিয়ে দিলেন

আমাদের দেশে পুলিশের সবসময় কোন না কোন বিতরকের কারণ এই শিরোনামে। পুলিশ এমন একটি কাজ করেছে যার কারণে তাদের সর্বত্র আলোচনা হচ্ছে। বস্তুত নাগপুরের একজন সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা মানবতার এমন একটি উদাহরণ দিয়েছে যার কারণে তিনি সর্বত্র প্রশংসিত হচ্ছেন। অটো ছেড়ে দেওয়ার জন্য চালক যখন চালান দিতে আসে তখন পুলিশ অফিসার তাকে চালান দিতে দেয় কিন্তু সে তার পকেট থেকে টাকা দেয়। এরপর তিনি তার অসহায়তার একটা গল্প শুনে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। আসুন এই অটোচালকের আবেগঘন গল্প জানা যাক।

আসুন আমরা আপনাকে বলি যে পুলিশ কর্মকর্তার উদারতার এ ঘটনা অন্য কোথাও নয় নাগপুরের শীতলা মুলাদী থানার। এখানে ট্রাফিক পুলিশ সোমবার একটি অটোরিকশা চালক কে নো পার্কিং জোনে গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য জরিমানা করেছেন এবং তাকে দুই হাজার টাকা চালানের জরিমানা করেছে এর সাথে তার অটো বাজেয়াপ্ত করেছে। এই অটোচালকের কাছে পর্যাপ্ত টাকা ছিলনা যে সে টাকা দিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে তার অটো নিতে পারে অন্যদিকে এটি ছিল তার সংসার চালানোর একমাত্র মাধ্যম তাই তিনি বাড়িতে গিয়েছিলেন পিগি ব্যাংক নিয়ে থানায় পৌঁছান।

আসুন আমরা আপনাকে বলি যে এই সময় এই অটোচালক তার স্ত্রী এবং ছেলেকে নিয়ে হাতে একটি প্লাস্টিকের ব্যাগ নিয়ে নাগপুরে ট্রাফিক বিভাগের অফিসে গিয়েছিলেন। সেখানে পৌছানোর পর তিনি সিনিয়র পুলিশ ইন্সপেক্টর অজয় কুমার মাল ভিয়ারের টেবিলে কাঁদতে কাঁদতে তার পিগি ব্যাংক রাখেন। এই সময় যখন অফিসার তার সম্পর্কে তার কাছ থেকে জানতে চান তিনি আবেগপ্রবণ হয়ে ওঠেন এবং চিৎকার শুরু করেন এবং বলেন স্যার আমার অটো ছেড়ে দিন আজ অটো না চালালে আমাদের না খেয়ে থাকতে হবে।

কারণ লকডাউন এর কারণে আমাদের জমা করা সমস্ত মূলধন ব্যয় হয়ে গেছে। আপনি আমার ছেলের পিগি ব্যাংক নিয়ে নিন এবং আমার অটো ছেড়ে দিন না হলে আমাদের পরিবারের কিছু খাওয়ার থাকবে না। এই সময় ওই পুলিশ অফিসার যখন অটোচালকের গল্প শোনান তখন তিনি খুব আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন এবং পুলিশ অফিসার তাকে পকেট থেকে দুই হাজার টাকা দিয়ে তার চালান পূরণ করেন এবং তাকে তার অটো ফিরিয়ে দেওয়ার অনুমতি দেন।

মহামারী জনিত কারণে দেশে লকডাউন এর কারণে অটোচালক ইতিমধ্যেই অনেক ঝামেলায় এবং ঋণের সম্মুখীন হয়েছিলেন এর সাথে তার কোনো সঞ্চয় ছিল না যার কারণে তাকে খুব মারাত্মক আর্থিক সংকটের মুখোমুখি হতে হয়েছিল এই ভয়াবহ পরিস্থিতির কারণে তিনি ব্যাংক থেকে টাকা ছড়ানোর জন্য থানায় গেছিলেন। কেসটি যেভাবে সামনে এসেছে এটা সত্যি পুলিশের সামনে একটি নতুন ছবি উপস্থাপন করে। পুলিশ অফিসার চালান কেটে নিজের দায়িত্ব পালন করেছেন এবং চালানটি পূরণ করেও মানবতার দায়িত্ব পালন করেছেন।।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button