সুন্দর স্ত্রী ও স্বামী পাওয়ার জন্য যারা কামনা করেন তারা পন্ডিত চাণক্যের এই কথাগুলি মেনে চলুন, জেনে নিন।

ভারতীয় সমাজে সর্বদায় পুরুষদের পরেই স্ত্রীদের স্থান দেওয়া হয়। পুরুষরা সর্বদায় লাজ ও লজ্জা এবং সমাজের প্রতি দায়িত্ব পালন করা সব কিছুর থেকেই পরিত্রাণ পান। তবুও পুরুষদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ কখনোই করা হয় না। কিন্তু মহান পণ্ডিত চাণক্য পুরুষদের বৈবাহিক জীবন এবং তাদের কর্তব্য সম্পর্কে এমন কিছু কথা বলেছেন যেগুলি আপনারা শুনলে অবাক হয়ে যাবেন। বর্তমান সমাজে সব ব্যক্তিরই বিয়ে হয়। আর সকলেই চায় তার সাথে যার বিয়ে হবে সে যেন খুব সুন্দর হয়।
সুন্দর নারীরা সমাজে শক্তিশালী হন:এই নারীরা শুধুমাত্র নিজেদের কথাই ভাবে না। এছাড়াও সুন্দর হওয়ায় সমাজে তাকে আলাদা সম্মান দেওয়া হয়। আজকের সমাজে ছেলে যতই কুৎসিত হোক না কেন তার স্ত্রী কে অবশ্যই সুন্দর হতে হবে। কিন্তু পন্ডিত চাণক্য বলেছেন যে, নারীর শারীরিক সৌন্দর্য প্রতি গুরুত্ব না দিয়ে গুনবান নারীকে বিবাহ করা টাই উচিত।
গুনবান নারী পরিবারকে একসাথে জুড়ে রাখেন:একজন নারীর সৌন্দর্যের থেকে তার গুনের ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। যদি একজন নারীর গুন ও আচরন ভালো না হয় তাহলে সেই নারীর সৌন্দর্যের কোনো মূল্যই থাকে না। আচার্য চাণক্য তার সবচেয়ে প্রসিদ্ধ গ্রন্থে নারী সম্পর্কে এমন ৫ টি তথ্য বলেছেন যে কোনো পুরুষের মনে যদি সুন্দর নারীকে পাওয়ার আকাঙ্কা থাকে তাহলে তা চিরকালের জন্য দূর হয়ে যাবে।
আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক, আচার্য চাণক্যের বলা ৫টি মূল্যবান বাক্য।
১)নিজেকে আয়নার মধ্যে দেখা: চাণক্য সেই সমস্ত লোকেদের কথা বলেছেন যারা মনে করেন তাদের পত্নী সুন্দর নয়। তাই তাদের আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেদের কত ক্ষমতা আছে তা জানতে পারবে। সব মানুষের মধ্যেই কিছু না কিছু কমতি থাকবেই, কোনো মানুষই সর্বগুন সম্পন্ন হয় না।
২) স্ত্রীর গুনকে সম্মান করা:চাণক্য এমন লোকেদের কথা বলেছেন যারা তাদের স্ত্রীর সৌন্দর্য নিয়ে সুখী নন। সৌন্দর্যের উপর নজর না দিয়ে গুনের দিকে নজর দিন। তাতে বুঝতে পারবেন যে আপনার পরিবারের জন্য উপযুক্ত কিনা। আপনার পরিবারের লোকেদের সঠিকভাবে যত্ন নেবেন কিনা।
৩)একজন খারাপ মহিলার কথা মনে করা:সাধারণত যখন কোনো ব্যক্তিকে অপমানিত করা হয়,তখনই তার নিজের যোগ্যতার কথা মনে পরে।অপমানিত হওয়ার পর কোনো ব্যক্তি যদি লোকটি নিজেকে বদলে নেই তাহলে সেই ব্যক্তি অবশ্যই সফলতা পাবেন। যদি কোনো ব্যক্তির নিজের স্ত্রীকে সুন্দর না লাগে তাহলে তখন তার এমন একজন স্ত্রীর কথা মনে করা উচিত যিনি তাকে অপমান করেছেন। তখন সেই ব্যক্তি বুঝতে পারবেন তার স্ত্রী তার জন্য কতটা উপযুক্ত।
৪)খারাপ সময়ের কথা মনে করা: যে ব্যক্তি তার স্ত্রীর সৌন্দর্য নিয়ে খুশি নন। তাদের মনে রাখা উচিত যখন সমগ্র সমাজ তার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে ছিল তখন শুধুমাত্র তার স্ত্রী তার সাথে ছিলেন।
৫) আপনার ভেতরের ব্যক্তিত্বকে জাগিয়ে তুলুন: চাণক্য বলেছেন যে অন্য কারোর মধ্যে খারাপ খোঁজার আগে নিজের সম্পর্কে চিন্তা করা উচিত। আপনি আপনার স্ত্রীর কাছ থেকে সবকিছু গোপনে রাখবেন এবং তার সাথে প্রতারণা করবেন। আর আপনার স্ত্রী আপনাকে সবসময় উপকার করবে। যদি এমন হয় তবে আপনি ছাড়া পৃথিবীর ভাগ্যবান স্বামী আর কেউ নেই।