সঠিক নিয়ম না মেনে মর্নিং ওয়াক করলে মিলবে না কোন সুফল! রইলো বিস্তারিত সঠিক পরামর্শ

মর্নিং ওয়াক আমাদের সকলের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা সকালে উঠে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে পড়েন। কিন্তু ভাবে মর্নিং ওয়াক করেও কোনো সুফল পাওয়া যায় না। সঠিক উপায় অবলম্বন করি না বলেই আমরা অনেক সময় সুফল পাই না। মর্নিং ওয়াক যেকোনো বয়সেই করা যেতে পারে। মর্নিং ওয়াক করার জন্য কিছু নিয়ম মেনে করা দরকার। চলুন জেনে নেওয়া যাক কি এই নিয়ম। যদি সকালে সূর্য উদয়ের কিছুক্ষণ পরে হাঁটেন তাহলে, আপনি প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি পাবেন।
অন্ধকারে হাঁটার সময় আপনি কিন্তু ভিটামিন-ডি পাবেন না। সকালে হাঁটার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো আপনি প্রচুর পরিমাণে অক্সিজেন পাবেন ওই সময়। কিন্তু রাতে যদি আপনি হাঁটতে যান তাহলে কার্বন ডাই অক্সাইড আপনার শরীরে বেশি প্রবেশ করে যাবে। প্রত্যেকদিন সকালে খোলা হাওয়ায় যদি আপনি হাঁটতে পারেন তাহলে আপনার হার্টের সমস্যা হবে না। এছাড়া বাড়তি শরীরের মেদ ঝরে যাবে আপনার মর্নিং ওয়াক করলে। সকালে যদি আপনি মর্নিং ওয়াক করতে পারেন তাহলে আপনার শরীরের
ক্যালরি নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং ওজন কমে যাবে। মর্নিং ওয়াক ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। ক্যান্সার রোগী যদি প্রত্যেকদিন সকালে পৌনে এক ঘণ্টা মর্নিং ওয়াক করতে পারেন তাহলে তার শরীরের জন্য ভীষণভাবে উপকারী প্রমাণিত হবে। এটি গবেষণা অনুযায়ী মনে করা হয় মানুষ সকালে যদি প্রতিনিয়ত হাঁটতে পারেন তাহলে তা প্রত্যেক ব্যায়াম এর থেকে ভালো ফলাফল লাভ হয়। এখন জেনে নেওয়া যাক একজন মানুষ সারাদিনে কতক্ষণ হাঁটতে পারে একজন মানুষের সারাদিনে কতক্ষণ মর্নিং ওয়াক করা জরুরি।
৫ বছর থেকে ৭ বছর শিশুদের জন্য প্রত্যেকদিন পনেরো শ ধাপ পর্যন্ত হাঁটা উচিত। ১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সী মানুষের প্রতিনিয়ত ১২০০০ পদক্ষেপ হাঁটা উচিত। ৪০ বছর বয়সী বয়সী ব্যক্তিদের প্রত্যেকদিন ১১০০০ ধাপ হাঁটা উচিত। ৫০ বছর বয়সী ব্যক্তিদের প্রত্যেকদিন ১০ হাজার ধাপ হাঁটা উচিত। ৬০ বছর বয়সের ব্যক্তিদের প্রত্যেকদিন ৮ হাজার ধাপ হাটা উচিত। এর পরও যদি আপনার কোন স্বাস্থ্য সমস্যা থাকে তাহলে কতক্ষণ হাঁটবেন এবং কিভাবে হাঁটবেন তা আপনি আপনার চিকিৎসকের থেকে পরামর্শ নিতে পারেন।।