মেয়েদের পায়ে আংটি পরলে, কী হয় জানেন? জানলে চমকে যাবেন

স্বামীর দারিদ্রতার কারণ হয়ে উঠতে পারে মহিলাদের পায়ের আংটি, এইজন্য মহিলাদের বিশেষ লক্ষ্য রাখা উচিত এইসব কথাগুলিতে
হিন্দু ধর্মে মহিলাদের পায়ে আংটি পরার প্রথা প্রচলিত আছে। আমাদের ধর্মে আমাদের দুটি পা এর মধ্যবর্তী তিনটি আঙ্গুলে আংটি পরার প্রথা প্রচলিত আছে। মহিলাদের সাজাগোজা তাদের টিকলি এবং পায়ের আংটিতেই থাকে, অর্থাৎ মহিলাদের শেষ অলংকার পায়ের আংটি হয়ে থাকে। মহিলাদের মাথায় সোনার টিকলি এবং পায়ে রুপোর আংটি পরার কারন হল তাতে সূর্য এবং চন্দ্রের কৃপা লাভ করা যায়। কিন্তু আবার এই পায়ের আংটি স্বামীর দারিদ্রতার কারণও হতে পারে।
মহিলারা পায়ে আংটি কেন পড়ে থাকে :-
হিন্দু ধর্মে বিবাহিত ভারতীয় মহিলারা পায়ে আংটি পড়ে থাকে। পায়ের আংটি পড়ে থাকার প্রতীক হলো এই না যে তারা বিবাহিত বরং এর পেছনে বৈজ্ঞানিক তথ্য ও আছে। বেদ অনুসারে এটি কে পায়ে পরার ফলে মহিলাদের মাসিক চক্র নিয়মিতভাবে হয়। ভারতবর্ষের শহর এলাকায় এই প্রবণতা অনেক কমে গেছে। কিন্তু গ্রামাঞ্চলে আজও এর মহত্ত্ব আছে। পায়ের আংটি কে সর্বদা ডান অথবা বাঁ পায়ের দ্বিতীয় আঙুলে পড়া হয়ে থাকে। এটি জরায়ুকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। কারণ রুপো ও শরীরের পক্ষে ভাল হয়ে থাকে এটি পৃথিবীর ধ্রুবীয় শক্তি কে সঞ্চালন করে শরীরে পৌঁছাতে সাহায্য করে যার ফলে শরীর তাজা হয়ে যায়।
ভারতীয় পরম্পরা অনুসারে প্রত্যেক মহিলারা বিবাহের পর পায়ে আংটি পড়ে থাকে। কিন্তু এই কথা ও লক্ষ্য রাখতে হবে যে এটি কেবল মাত্র বিবাহিত মহিলারাই পড়ে থাকে। অবিবাহিত মেয়েদের পায়ের আংটি পরা উচিত নয়। কারণ এর পেছনে মান্যতা আছে যে এর কারনে মহিলাদের মাসিক চক্র নিয়মিত ভাবে হয়। এছাড়াও পায়ে আংটি পরার ফলে মহিলাদের গর্ভধারণের সময় কোন সমস্যা হয় না। কিন্তু হয়তো এটি খুবই অল্পসংখ্যক মহিলারা জানেন যে পায়ে আংটি ঠিকমত না পড়া হলে এটি তার স্বামীর দারিদ্রতার কারণ হতে পারে।
পায়ের আংটি স্বামীর দারিদ্রতার কারন কিভাবে হতে পারে:-
আমাদের দেশের মহিলারা ১৬ রকম ভাবে সাজগোজ করার জন্য বিখ্যাত। মাথায় পড়ে থাকা টিপ থেকে শুরু করে পায়ের আংটি প্রত্যেক টি জিনিসের এক বিশেষ মহত্ব আছে। আপনি কি জানেন মহিলার দ্বারা পড়ে থাকা পায়ের আংটির সাথে গর্ভাশয় এর বিশেষ সম্পর্ক আছে। বিবাহের পরে মহিলাদের পায়ে আংটি পরার প্রথা প্রচলিত আছে। কিছু কিছু লোক এটি কে শুধুমাত্র বিবাহের পরম্পরা ধরে থাকে। কিন্তু আপনি কি জানেন যে পায়ের আংটির সাথে বৈজ্ঞানিক সম্পর্ক ও আছে। পায়ের দ্বিতীয় আঙ্গুলে এক বিশেষ শিরা আছে যেটি কিনা গর্ভাশয়ের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত আছে, গর্ভাশয় কে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে এবং রক্তচাপকে সঞ্চালন করে। পায়ের আংটির চাপের কারণে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
কিন্তু এটিই আবার স্বামীর দারিদ্রতার কারণ হতে পারে। জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে এটিকে সূর্য এবং চন্দ্রের প্রতিক মানা হয়। এটা মান্যতা আছে যে পায়ে আংটি পরার ফলে সূর্য এবং চন্দ্রের কৃপা স্বামী এবং স্ত্রী উভয়ে লাভ করে। কিন্তু লক্ষ রাখা উচিত যে এই আংটি যেন রুপোর তৈরি হয়। ভুলেও কখনো সোনার আংটি পড়বেন না। এই আংটি যাতে ঢিলা না হয় যাতে পা থেকে বেরিয়ে যায়। এই দিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখবেন যে আপনার পড়া আংটি যেন আপনি অন্য কাউকে না দিয়ে দেন। এর ফলে স্বামী অসুস্থ এবং দারিদ্র্য হয়ে উঠতে পারে।