জন্মাষ্টমীর দিনে বাড়িতে আনুন ময়ূরের পালক আর রাখুন ঘরের এই স্থানে, সমস্ত দুঃখ কষ্ট থেকে মুক্তি পেতে পারেন ঘরে আসতে পারে শান্তি

প্রাচীনকাল থেকেই ময়ূরের পালক বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। ময়ূরের পালক ইতিবাচক শক্তির প্রতীক হিসাবে মনে করা হয়। ময়ূরের পালক ব্যবহার করলে শরীর এবং স্বাস্থ্য ভালো থাকে, তাই বহুকাল থেকে বাচ্চার মাথায় অথবা বিছানার তলায় ময়ূরের পালক রেখে দেয়ার প্রচলন চলে আসছে। যেহেতু দ্বাপর যুগের কৃষ্ণ নিজের মুকুটে ময়ূরের পালক ব্যবহার করেছিলেন, তাই এই ময়ূরের পালক আমাদের জীবনে অত্যন্ত ইতিবাচক একটি ফলাফল দিতে পারে।
বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী, ময়ূর পালক বাস্তুদোষ দূর করে দেয় এবং ইতিবাচক শক্তিকে আকৃষ্ট করে। আর কিছুদিন পরেই জন্মাষ্টমী। এই দিন যদি আপনি ময়ূরের পালক বাড়িতে নিয়ে আসেন তাহলে সমূহ উপকার পেতে পারেন আপনি। চলুন জেনে নেওয়া যাক কি কি সেই উপকার।
ময়ূরের পালক কে সর্ব গ্রহের প্রতিনিধি বলে মনে করা হয়। বাড়িতে ময়ূরের পালক রাখলে ইতিবাচক শক্তির আগমন ঘটে এবং গ্রহদোষ দূর হয়ে যায়। ময়ূরের পালকের সমস্ত দেবী এবং দেবতার বাস বলে মনে করা হয় তাই বাস্তুদোষ নিবারন করার জন্য এই পালক আপনি ব্যবহার করতে পারবেন। বাড়িতে এই পালক রাখলে সমস্ত সমস্যার সমাধান হয়ে যায় এবং পরিবারের সুখ সমৃদ্ধি এবং ধন-সম্পদের আগমন হয়।
কোন কাজে যদি বাধা আসে, তাহলে ঠাকুরঘরে পাঁচটি ময়ূরের পালক রেখে দিতে পারেন। এগুলিকে প্রত্যেকদিন পুজো করলে এবং ২১ দিন পর যদি সেই পালকগুলিকে আপনি লকারে রেখে দিতে পারেন, তাহলে আপনার সমস্ত আটকে থাকা কাজ পূর্ণ হয়ে যাবে।
শয়ন কক্ষে পূর্ব অথবা উত্তর দিকে দুটি ময়ূরের পালক একসাথে একটি দেওয়ালে রেখে দিতে পারলে দাম্পত্য জীবনের সমস্ত সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। আবার বাস্তু মতে, পঞ্চতত্ত্বের ভারসাম্য যদি ঠিক না থাকে তাহলে ঠাকুরঘরে পাঁচটি পালক রেখে দিলে নেতিবাচক শক্তি সরে গিয়ে আপনার জীবনে সুখ সমৃদ্ধি আসে।
বাড়িতে ময়ূরের পালক যদি দেখে দিতে পারেন তাহলে দেখবেন আপনার বাড়িতে কোন বিষাক্ত জীবজন্তু আসবেনা। তবে ময়ূরের পালক এমন একটি জায়গায় রাখবেন যেখানে সকলের নজর পড়বে।
সন্তানের জেদ কমানোর জন্য ময়ূরের পালক দিয়ে হাওয়া দিতে পারেন। পড়াশোনায় মনোনিবেশ করানোর জন্য পড়ার টেবিলে সাতটি ময়ূরের পালক রেখে দিতে পারেন।
বাড়িতে প্রবেশ দ্বার যদি পূর্ব-উত্তর অথবা ঈশান কোণে না হয়, তাহলে চৌকাঠের ওপর দিকে বসে থাকা মুদ্রায় গণেশ যাপন করতে হবে আপনাকে এবং সেখানেই রাখতে হবে তিনটি ময়ূরের পালক। এই কাজ করলে আপনার প্রবেশদ্বারের বাস্তুদোষ দূর হয়ে যাবে।
শয়ন কক্ষের পশ্চিম দিকের দেয়ালে ময়ূরের পালক রেখে দিলে রাহু কেতুর কু প্রভাব থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।