চাণক্য মতে কোনও ব্যক্তির সঙ্গে বন্ধুত্বের আগে জানুন এই ৪ বিষয়, না হলেই বড় বিপদ

চাণক্য নীতি’-র পুরোটাই যে নঞর্থক এমনটা বাবলে ভুল হবে। অনেকেরই ধারণা, কৌটিল্য বিষ্ণুগুপ্ত চাণক্যের নামে যে নীতিবাক্যগুলি ভারতে দালা রয়েছে, তার সিংহভাগই তিক্তরসাশ্রিত। প্রায় প্রতিটি কথনেই উঠে এসেছে নিষেধ, প্রতিটি উপদেশেই সাবধানবাণী শোনানো হয়েছে। সে কথা অস্বীকার করা না গেলেও এটা মানতে হবে, ‘চাণক্য নীতি’ নামে পরিচিত এথিক্যাল কোড-এ বেশ কিছু ইতিবাচক বস্তুও বিদ্যমান। তার মধ্যে অন্যতম হল জীবনে সুখী হওয়ার জন্য প্রদত্ত চাণক্য-নির্দেশ। মহামতি চাণক্য নাকি সুখী জীবনের জন্য মাত্র চারটি সূত্রকেই পালনীয় বলে মনে করেছিলেন তাঁর উপদেশমালায়।

কোনও মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব করার আগে কিংবা নতুন সম্পর্ক স্থাপনের আগে থেকে কয়েকটি জিনিস জেনে নেওয়া উচিত। মানুষ চেনা মোটেই সহজ কাজ নয়। তাই চাণক্য নীতি অনুসারে বন্ধুত্বের হাত বাড়ানোর আগে ব্যক্তিটি সম্পর্কে এই চারটি জিনিস জেনে নিন।

ব্যক্তির ত্যাগ করার ক্ষমতা অনেকটাই বলে দেয় তিনি মানুষ হিসেবে কেমন। যদি কোনও ব্যক্তি অন্যের সুখের জন্য নিজের সুখ ত্যাগ করতে পারেন, তা হলে বুঝতে হবে তিনি মানুষ হিসেবে ভাল। যাঁরা নিজের খুশির জন্য কোনও কিছুই ত্যাগ করতে পারেন না, তাঁদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের আগে ভাবুন।

• কোনও ব্যক্তির সঙ্গে বন্ধুত্ব স্থাপনের আগে তাঁর চরিত্র সম্পর্কে অবহিত হোন। সেই ব্যক্তি যাঁদের সঙ্গে মেশেন, তাঁদের থেকে খোঁজখবর নিন তাঁর চরিত্র সম্পর্কে।

• প্রত্যেক মানুষের মধ্যেই দোষ-গুণ থাকে। যে মানুষের মধ্যে দোষের পরিমাণ বেশি, যথা অতিরিক্ত রেগে যাওয়া বা কথায় কথায় মিথ্যে কথা বলা, সেই ব্যক্তিদের থেকে দূরে থাকুন।

• প্রত্যেকেই অর্থ উপার্জন করার জন্য কাজ করেন। কিন্তু সবাই যে সৎ পথে তা করে, এমনটা কিন্তু নয়। যাঁরা দুর্নীতির রাস্তা বেছে নেয় টাকার জন্য তাঁদের এড়িয়ে চলুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button