এই তিনটি ঘরোয়া উপায়ে হাতের কনুই ও ঘাড়ের কালো দাগ দূর করুন নিমেষে

আজকালকার দিনে সবাই খুবই ফ্যাশনেবল পোশাক পরে থাকে। সবাই নিজেকে আরও বেশি স্টাইলিশ করে তুলতে চায়। যদিও মেয়েরা এই দৌড়ে অনেকটা আগে। হ্যাঁ মেয়েরা ফ্যাশনের মামলায় কোন দ্বিধাবোধ করে না তাই তারা এর জন্য যে কোন ধরনের পোশাক ও প্রোডাক্ট ব্যাবহার করতে ও দ্বিধাবোধ করে না কিন্তু মেয়েরা শুধু মাত্র কালো দাগের জন্য ফ্যাশন করতে পিছু পা নিয়ে নেয় কারণ তাদের লজ্জার সম্মুখীন হতে হয়। চলুন জেনে নিই আমাদের এই প্রবন্ধে আপনার জন্য বিশেষ কি?

আধুনিক যুগে বেশিরভাগ মেয়েরাই হাতকাটা টি-শার্ট ব্লাউজ গাউন্ এবং শর্টস পড়া পছন্দ করে থাকে। কিন্তু গলা এবং বগলের নিচে হওয়া কালো দাগের জন্য এইসব পোশাক-পরিচ্ছদ পড়তে দ্বিধাবোধ করেন।তো আজ আমরা আপনাকে শরীরের বিশেষ কিছু অংশে হওয়া এই কালো দাগ কে দূর করার কিছু উপায় বলবো যার সাহায্যে আপনারা খুব সহজেই এই কালো দাগ থেকে মুক্তি পেতে পারবেন। শুধু এই নয় কালো দাগ থেকে আপনি শীঘ্রই মুক্তি পাবেন।

কেন হয় শরীরে কিছু অংশ কালো:-যদিও কালো দাগ হওয়ার পেছনে অনেক কারণ থাকতে পারে তবুও আমরা আপনাকে নিচে এর কিছু বিশেষ কারণ বলতে যাচ্ছি-

১. হরমোনের অসম্পূর্ণতা
২. ফাংগাল ইনফেকশন
৩. সান বার্ন
৪. ঠিকমতো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন না থাকা

কিভাবে দূর করবে শরীরের এই কালো দাগ:-আমরা আপনাকে শরীরে কিছু অংশের কালো দাগ দূর করার জন্য কিছু উপায় বলতে যাচ্ছি, যা নিচে বিস্তারিত ভাবে দেওয়া হলো-

১.নারকেলের তেল:-শরীরের যে কোন অংশের কালো দাগ দূর করার জন্য নারকেল তেল নিন। হ্যাঁ, নারকেল তেলের সাহায্যে মেসেজ করলে আপনি খুব শীঘ্রই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারবেন।যদি আপনি প্রতিদিন নিয়মিতভাবে রাতে শোবার আগে নারকেল তেলের সাহায্যে ওই স্থানে মেসেজ করে থাকেন তো আপনি খুব শীঘ্রই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারবেন।

২.কফি পাউডার হলুদ এবং লেবুর পেস্ট:-শরীরের কালো দাগ কে দূর করার জন্য কফি পাউডার হলুদ এবং লেবুর পেস্ট সবচেয়ে ভালো উপায়।সবার প্রথমে অর্ধেক চামচ কফি পাউডার হলুদ এবং অল্প পরিমাণে লেবুর রস নিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন এরপর এটি কে নিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট ওই স্থানে লাগিয়ে রাখুন। এর ফলে আপনি খুব শীঘ্রই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।

৩. আলুর পেস্ট:-আলুর পেস্ট কালো দাগ দূর করার জন্য খুবই উপযোগী। এর জন্য আপনি স্নান করার ঠিক আগে আলুর পেস্ট নিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট ওই স্থানে লাগিয়ে রেখে দিন এবং এরপর আপনি স্নান করে নিন।এটি করার পর আপনি খুব শীঘ্রই তফাৎ দেখতে পারবেন এবং আপনি যদি চান তবে এই প্রক্রিয়াটিকে সপ্তাহে ২ বার ব্যবহার করতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button