আপনার নাম কি ইংরেজির “এন” অক্ষর দিয়ে শুরু হয়? তাহলে জানুন আপনার ভাগ্যে কি আছে

নাম। আমাদের পরিচয়ের একেবারে প্রথম পদক্ষেপ হয়। এখান থেকেই শুরু হয় একটা মানুষকে চেনার যাত্রা। তাই তো নামের অন্দরে লুকিয়ে থাকে প্রতিটি মানুষের সম্পর্কে নানা অজানা কথা, যে সম্পর্কে অনেকে খোঁজই রাখেন না। সেই অজানা কথার সন্ধান পেয়ে গেলে বুঝবেন নাম শুধুই কয়েকটা অক্ষর নয়, আরও অনেক কিছু!

একাধিক কেস স্টাডি করে দেখা গেছে নাম একটা মানুষের চরিত্রকে নানাভাবে প্রভাবিত করে থাকে। এমনকি নানা পরিস্থিতিতে কে কেমন রকম সিদ্ধান্ত নেবেন, তাও কিন্তু অনেকাংশে নির্ভর করে নামের উপরই। তাই তো এই প্রবন্ধে “এন” অক্ষর দিয়ে যাদের নাম শুরু হয়, তাদের চরিত্র কেমন হয়, সেদিকে একটু নজর ফেরানো হবে। একথা হলফ করে বলতে পারি যে আমার মতো যাদের নাম এন দিয়ে শুরু হয়, তারা এই প্রবন্ধটি পড়ে নিজের সম্পর্কে যে অনেক কিছু জানতে পারবেন, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই!

অক্ষর নিয়ে যারা গবেষণা করেন, তাদের মতে “এন” অক্ষর খুব এনার্জেটিক। তাই তো এন দিয়ে যাদের নাম শুরু হয় তাদের সঙ্গে যারাই থাকেন না কেন, তাদের মন ভাল হতে একেবারই সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, এমন নামের মানুষদের চরিত্রের আরও বেশ কিছু স্পেশাল বৈশিষ্ট্য থাকে। যেমন ধরুন…

১. এদের ভাবনা চিন্তা একেবারেই এলোমেলা হয় না:যে কোনও বিষয় নিয়ে পরিষ্কার ভাবনা থাকে এদের। তাই তো কম সময় সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া, এদের চরিত্রের একটি বড় গুণ। শুধু তাই নয়, এমন মানুষেরা খুব অমায়িক হন এবং যে কোনও মানুষের সঙ্গে মিশতে এদের কয়েক সেকেন্ডও সময় লাগে না। তাই তো এমন মানুষধের বন্ধুর সংখ্যা নেহাতই কম হয় না। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে আরেকটি জিনিসও জানিয়ে রাখা ভাল যে এন অক্ষর দিয়ে যাদের নাম শুরু হয়, তাদের যে কোনও মানুষকে প্রভাবিত করতে একেবারেই সময় লাগে না।

২. বন্ধুত্বকে গুরুত্ব দিতে জানেন:এরা শুধুমাত্র স্বার্থের কথা ভেবে বন্ধুত্ব করতে পছন্দ করেন না। যাদের সঙ্গে মনের মিল হয়, কেবল তাদের সঙ্গেই এমন বিশেষ সম্পর্ক স্থাপন করে থাকেন। শুধু তাই নয়, যাদের সঙ্গে একবার বন্ধুত্ব হয়ে যায়, তাদের সঙ্গে এরা অমৃত্যু ছাড়েন না। তাই কখনও যদি এন অক্ষর দিয়ে শুরু হওয়া নামের কোনও মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব করার সুযোগ পান, তাহলে সে সুযোগ হারাবেন না যেন! তবে এদের চরিত্রের একটাই খারাপ দিক রয়েছে, তা হল এরা খুব একটা অন্যের কথা শুনতেই চান না, বরং নিজের কথা বলতেই বেশি ভালবাসেন। প্রসঙ্গত, যেসব মেয়েদের নাম এন দিয়ে শুরু হয়, তারা খুব একটা অচেনা মানুষদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে পছন্দ করেন না। কিন্তু কারও সঙ্গে যদি একবার বন্ধুত্ব করে ফেলেন, তাহলে সেই সম্পর্ককে কীভাবে সুন্দরভাবে রাখতে হয়, তা এদের থেকে ভাল কেউ জানেন না।

৩. মানসিকভাবে এরা খুব দৃঢ় হন:জীবনে সাফল্য পেতে এদের প্রতি মুহূর্তে লড়াই করতে হয়, তাই তো এরা ভিতর থেকে এতটা শক্তিশালী হয়ে ওঠেন যে জীবন পথে চলতে এদের কোনও সমস্যাই হয় না। শুধু তাই নয়, বিশেষজ্ঞদের মতে এমন মানুষেরা ‘মাইন্ড প্লেয়ার’ হন। অর্থাৎ যে কোনও মানুষকে প্রভাবিত করে নিজের কাজটা কিভাবে গুছিয়ে নিতে হয়, সে সম্পর্কে এরা খুব ভাল জানেন।

৪. এরা ঠান্ডা-গরমের মিশ্রন হন:আপাত দৃষ্টিতে একদের দেখে শান্ত স্বভাবের মনে হলেও আদতে কিন্তু এরা খুব রাগী প্রকৃতির মানুষ হন। শুধু তাই নয়, একবার কোনও সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলে যেন তেন প্রকারণে তা বাস্তবিয়িত করতে এদের জুড়ি মেলা ভার। প্রসঙ্গত, লড়াই করে সফল হলেও এমন মানুষেরা নিজের সম্পর্কে কোনও খারপ কথা শুনতে একবারেই ভালবাসেন না।

৫. কিছু ক্ষেত্র এরা খুব অ্যারোগেন্ট:খোলা মনের মানুষ হলেও এদের সহজে চিন্তা পারা যায় না। কারণ এদের মনের অন্দরে কী চলছে তা এরা সহজে প্রকাশ করতে চান না। ফলে মানুষ হিসেবে এরা কেমন, তা বুঝতে বেশিরভাগ সময়ই বাকিরা ভুল করে ফেলেন। আরেকটা বিষয়, কারও উপর এরা একবার রেগে গেলে সেই মানুষকে যতক্ষণ না শাস্তি দিচ্ছেন, ততক্ষণ এদের মন শান্ত হতে চায় না।

৬. মানুষকে নিজের দিকে আকৃষ্ট করতে এদের জুড়ি মেলা ভার:

যেমনটা আগেও আলোচনা করা হয়েছে যে এরা মানুষ হিসেবে এমন হন যে এদের দ্বারা সহজেই সবাই প্রভাবিত হয়ে পরেন। বিশেষত এদের কথা বলার স্টাইল, নিজেকে বাকিদের সামনে প্রেজেন্ট করার স্টাইল এতটাই চমকপ্রদ হয় যে কারও পক্ষেই এমন মানুষদের এড়িয়ে চলা সম্ভব হয় না।

কি বন্ধু নিজের সম্পর্কে ঠিক ঠিক মতো জানতে পারলেন তো? আপনার উত্তর যে হ্যাঁ হবেই, সে ব্যাপারে আমি নিশ্চিত, তাই তো একটাই অনুরোধ, আপনার কোনও বন্ধুর নাম যদি ‘এন’ অক্ষর দিয়ে শুরু হয়, তাহলে তার সঙ্গে এই প্রবন্ধের লিঙ্ক শেয়ার করতে ভুলবেন না যেন!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button