৮ কোটি টাকার গাড়ি ব্যাবহারকারী সঞ্জয় গায়কোয়াড় এর ওপর লাগলো মাত্র 35 হাজার টাকার বিদ্যুৎ চুরির অভিযোগ

আমাদের মত মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষের পক্ষে কল্পনাতীত বা বলা যায় দুঃস্বপ্নেও যা দেখা সম্ভব নয়, তেমনি খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় রমরমিয়ে চলছে। আর এই সোশ্যাল মিডিয়ায় এই খবর আসামাত্রই মুহূর্তে তা ছড়িয়ে যায়, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
কি সেই খবর খবরটি হল ৮ কোটি টাকার গাড়িতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন শিবসেনার নেতা সঞ্জয় গায়কওয়াদ। গাড়িটি হল রোলস রইস, এই কোটি টাকার গাড়ি চালাচ্ছেন তিনি, যা আমাদের সাধ্যের কেন স্বপ্নেরও বাইরে, আবার ভাবলে অবাক লাগে যে তারই বিরুদ্ধে কেবলমাত্র ৩৫০০০ বিদ্যুৎ চুরির মামলা দায়ের হয়েছে। কোন লক্ষ বা কোটি টাকার নয়, নামমাত্র টাকা তার কাছে। যিনি এত কোটি টাকার গাড়ি চালান তার কাছে এটা নগন্য মাত্র, কিন্তু কেন এই মামলা? হঠাৎ করে এরকম মামলা সঞ্জয় বিরুদ্ধে দায়ের করেছেন এমএসপিডিসিএল সংস্থা।
জানা যায় যে , মার্চ মাসে এই বিদ্যুৎ চুরির ঘটনাটি ঘটে তদন্ত করে জানা যায় যে, এই বিদ্যুৎ চুরির ঘটনাটি ঘটে কল্যাণ পুর্ব কোলসেভাদীতে এই শিবসেনা নেতার নির্মাণ স্থানে। সঞ্জয় গায়ক ওয়াদের নামে ৩৪৮৪০ টাকার বিল পাঠিয়েছিলো। সংস্থাটি তাদের জানায় যে, আরো ১৫ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে তাদের। তবে সংস্থার নোটিশের পরে ও গায়কওয়াদ বিল এবং জরিমানা তিন মাসের মধ্যে পরিশোধ করেননি। যার ফলে মহারাষ্ট্রের এই রাজ্য বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা লিমিটেডের কর্মকর্তারা তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করতে বাধ্য হন।
এই অভিযোগের পরে অবশ্য ১২ ই জুলাই সঞ্জয় গায়কওয়াদ বিল ও ৪৯ হাজার ৮৪০ টাকা জরিমানা দিয়ে দেন ,সে তথ্যও বিজ্ঞপ্তি করে জানিয়েছেন এম এস ই ডি সি এল এর কর্মকর্তারা। কিন্তু এখানেই শেষ হয়নি এর পরে অবশ্য শিবসেনা নেতা সঞ্জয় গায়কওয়াদ এমএস ইডিসিএল এর বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ মামলা করার অভিযোগ তুলেছেন এবং তার সাথে বিদ্যুৎ চুরির মতো ঘটনার সাথে জড়িয়ে তাকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন বলে দাবি করেছেন তিনি।
এক কথায় তিনি আরো বলেন তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছে, যার ফলে তাকে অপমান করা যায়। তাই জন্য তিনি এই বিষয়টি নিয়ে আরো তদন্ত করার কথা বলেছেন, আরো বিস্তারিত তদন্ত হোক যাতে সত্যিটা সামনে আসে। আমরা সবাই সে সত্যিই সামনা সামনি হতে চাই, কোনটা মিথ্যা কোনটা সত্যি তা সময়ই উত্তর দেবে সেই অপেক্ষাতে আমরা সবাই রইলাম।