ব্যাকবেঞ্চার হয়েও যে কঠোর পরিশ্রমে জীবনে সাফল্য অর্জন করা যায় তার প্রমাণ দিলেন এই IAS অফিসার

আমাদের দেশে প্রতিভার অভাব নেই ,প্রথম কথা আমরা জানি মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক সময় রেজাল্ট প্রকাশন এর সময়ে দেখা যায় ,অনেক অর্থনৈতিক ভাবে ভেঙে পড়া বাড়ির ছেলেরা কত প্রতিভাবান হয়। এমনকি চাকরির ক্ষেত্রে অনেক লাস্ট ব্যাঞ্চারাও জীবনের শীর্ষে পৌঁছে যায়, তারই একটি জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত হলো অনুরাগ। তার জীবনের ওঠাপড়া ভাঙা-গড়া প্রতিবন্ধকতা সবকিছু নিয়ে তিনি তার বক্তব্য রেখেছেন । তিনি আরো বলেন একজন লাস্টবেঞ্চার ছিলেন এমনকি পড়াশোনায় ভালো ছিলেন না। টপার দের কপি করে পাশ করতেন।
তিনি জীবনের লক্ষ্যে অবিচল থেকে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলেন, সেটাই তার সাফল্যের চাবিকাঠি বলা যেতে পারে এবং তিনি সবাইকে তা করতে উদ্বুদ্ধ করেছেন, এইরকম একাগ্রতা নিয়ে জীবনের লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য ,লক্ষ্যে পৌঁছানো অব্দি যেন হেরে না যায়, তাহলে জীবনে সাফল্য লাভ করা যাবে না ।
সাফল্য নিয়েও বক্তব্য রেখেছেন অনুরাগ , আইএএস পরীক্ষা প্রশ্নপত্র, প্যার্টান, পড়াশোনা সবকিছু বুঝে তবে ধীরে ধীরে এগোতে হবে। নিজেকে রেডি করতে হবে ,প্রতিবন্ধকতা থাকবে ই, ধৈর্য হারালে চলবে না, তিনি নিজের জীবনে তাই করেছেন ।
নিজের জীবন নিয়ে তিনি বলেছেন ,বিহারের কাটিহার এর একটি ছোট্ট স্কুলে পড়াশোনা করতেন। মাধ্যমিকের সময়ই তার স্কুল বদল হয় ,তিনি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে ভর্তি হন হঠাৎ করে এরকম বদলটা তিনি অভ্যস্ত হতে পারেননি ,তাই তিনি দিশেহারা হয়ে পড়েন ।কিন্তু তার ভেতরে ইচ্ছাশক্তি কে তিনি হারিয়ে যেতে দেননি। তাদের নিজের মধ্যে ইচ্ছাশক্তিকে জাগিয়ে রেখে ছিলেন। আর সেটি তার জীবনের সাফল্যের চাবিকাঠি হয়ে দাঁড়ায় ।
ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে ভর্তি হওয়ার পর থেকে তিনি তার ইংরেজি পড়ার ওপর জোর দেন বেশি করে। যার ফলে তিনি মাধ্যমিকে ৯০% নাম্বার নিয়ে পাস করেন ।এরপর তিনি পড়াশোনার জন্য চলে যান দিল্লি ক্লাস টুয়েলভে পড়াশোনার জন্য। সেখানেও তিনি হাজার হাজার ছাত্রের মধ্যে নিজেকে হারিয়ে ফেলেন। অংকে ব্যর্থ হন ,আবার তিনি ফিরে আসেন দেশে ।তিন মাস পুরোদমে পড়াশোনা করে নিজের জেদের আবার ক্লাস টুয়েলভ দিয়ে ৯0 শতাংশ নম্বরে পাশ করেন তিনি।
এরপর তিনি কলেজে ভর্তি হন ইকোনমিকসে অনার্স নিয়ে সেখানেও তিনি ব্যর্থ হন কিন্তু তাতেও তিনি আশা ছাড়েননি। বারংবার চেষ্টা চালিয়ে গেছেন, যার ফলে গড়পড়তা নাম্বার নিয়ে পাস করেন ।আসলে তিনি তবুও তার নিজের উপর ভরসা তা তিনি হারাননি ।নিজের লক্ষ্যে অবিচল থেকেছেন এবং নিজের লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে গেছেন ।
এরপর তিনি আইএসের এর জন্য পড়াশোনা করতে শুরু করেন অর্থাৎ পড়াশোনা জীবন থেকে চাকরি জীবনে পদার্পণ । সেখানেও তিনি কঠোর পরিশ্রম করেন ।অবশেষে তিনি সফল হন ২০১৭ সালে র্যাঙ্ক করেন ৬৭৭, আশা অনুরূপ ফল না হওয়ায় তিনি আবারো পরীক্ষায় বসেন রেঙ্ক করেন ৪৮। অবশেষে জীবনে সফল হন, তাই তিনি সমস্ত আইএএস পরীক্ষার্থীদের নিজের লক্ষ্যে অবিচল থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।