বাবার কথায় আমেরিকার চাকরি ছেড়ে ,ব্যাবসা শুরু করে আজ যে উপায়ে 90 লাখ টাকা ইনকাম করেছে এই ধন্যি মেয়ে জানলে অবাক হবেন
সন্তানের বড় হওয়ার পেছনে বাবা-মার ভূমিকা অপরিহার্য। সন্তানরা বাবা-মা কার্যকলাপ দেখেই শিক্ষা পায়, তেমনই এক ঘটনা হল অঙ্কিতার।
অঙ্কিতা আমেরিকা চাকরি করতেন কিন্তু হঠাৎই বাবার নির্দেশেই চাকরি ছেড়ে তিনি দেশে চলে আসেন, শুধুমাত্র বাবার ব্যবসায় সাহায্য করবার জন্য। কিন্তু তার সেই বিদেশে চাকরি ছেড়ে আসার পরও আজ তাদের বার্ষিক আয়ের ৯০ লক্ষ টাকা। প্রতিটি যুবক বিদেশের প্রতি বড়ই আকৃষ্ট কারণ সেখানে উপার্জনও বেশি তাই দেশ ছেড়ে বিদেশে পাড়ি দিতে চায় সবাই। অবশ্য বর্তমানে আমাদের দেশে চাকরির বাজারের যা হাল, তাতে তাই সবাই বিদেশে পাড়ি জমাতে চায় কিন্তু হঠাৎই যদি কাউকে বলা হয় যে, একটি মেয়ে আমেরিকার কয়েক মিলিয়ন প্যাকেজ ছেড়ে রেখে চলে আসে তার বাবার দুগ্ধ ও খামার কাজে যত্ন নেওয়ার জন্য, তা হয়তো অনেকের কাছে অবিশ্বাস্য হবে। কিন্তু এটি ঘটেছে বর্তমানেই।
অঙ্কিতা হলেন রাজস্থানের আজমির এর বাসিন্দা, ২০০৯ সালে তিনি প্রথম আইআইএম কলকাতা থেকে পড়াশোনা শেষ করে পাড়ি জমিয়েছিলেন জার্মানী, আমেরিকাতে। সেখানে 5 বছর চাকরি করেছিলেন। যা যে কোন যুবকের স্বপ্ন, সে আরামের চাকরি ছেড়ে তিনি দেশে ফিরেছিলেন শুধুমাত্র বাবার নির্দেশে। বাবার তৈরি ডেয়ারি ও জৈব চাষ, খাদ্য প্রসেসিং এর বিজনেস এ যোগদান করেছেন অঙ্কিতা। তাঁর বাবা ও হলেন একজন ইঞ্জিনিয়ার, আমেরিকার চাকরি করতেন, ম্যানেজারের চাকরি। সেই চাকরি ছেড়ে তিনি কৃষক হয়েছিলেন। কিন্তু চাকরি করলেও তার মনে ছিল এই দুগ্ধ জাতীয় ও জৈব চাষ করার ধারণা, কিন্তু এই ধারণা তার এসেছিল তার তিন বছরের মেয়ে অঙ্কিতা যখন জন্ডিসে আক্রান্ত হয়েছিল তখন থেকেই এবং জন্ডিসে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে মেয়ে।
চিকিৎসকরা তাকে পুষ্টিকর খাবার ও খাঁটি দুধ খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। যে দুধ পাওয়া ছিল দুঃসাধ্য ব্যাপার, তাই জন্য অঙ্কিতার বাবা নিজেই একটি গাভী পুষেছিলেন এবং সেই গরুর খাঁটি দুধ খেয়েই অঙ্কিতা খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু তখন ইচ্ছা থাকলেও উপায় হয় নি কারণ বাড়িতে একমাত্র উপায় দার ব্যক্তি তিনিই ছিলেন। যার ফলে ইচ্ছে মনের মধ্যে জাগিয়ে রেখে ছিলেন, শুধু অপেক্ষা করছিলেন সঠিক সময়ের।
তাই মেয়ে যখন আমেরিকা স্থায়ী চাকরিতে নিযুক্ত হল তখনই তার বাবা নিজের চাকরি ছেড়ে পুরোপুরি কৃষিকাজের বিজনেস নিজেকে নিযুক্ত করে দেন এবং আস্তে আস্তে ব্যবসাটিকে বড় করতে শুরু করেন। যার ফলে অঙ্কিতাও জার্মানি, আমেরিকার মতো ভালো ভালো সংস্থার চাকরি ছেড়ে দেশে ফিরে আসেন এবং বাবার বিজনেসে নিযুক্ত হন। বর্তমানে তাদের ৫০ টিরও বেশি গরু আছে ২ ডজনেরও বেশি খাবার আইটেম তারা বিক্রি করে। এমনকি সবথেকে বড় কথা তারা ১০০ জনকে কর্মসংস্থান দিতে পেরেছেন তারা, তবে অঙ্কিতা আস্তে আস্তে নিজেদের বিজনেসকে ডিজিটাল অনলাইন প্লাটফর্মের মধ্যে নিযুক্ত করেছেন, যার ফলে নিজের একটা ওয়েবসাইট চালু করে রেখেছেন। যেখান থেকে সারাদেশে তাদের পণ্য বিক্রি করা সম্ভব হবে , ফলশ্রুতি হিসেবে আমরা দেখতে পাই যে তাঁদের এই সমস্ত পণ্য বর্তমানে অ্যামাজন ফ্লিপকার্ট খুব সহজেই পাওয়া যায়।