পেট্রোল এবং ডিজেলে চলবে এমন এক হাই স্পিড বাইক বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিলো গুজরাটের এই ছাত্র।

নতুন এক আবিষ্কারে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা, যে আবিষ্কার যথেষ্টই আশ্চর্যজনক এবং তার সাথে প্রশংসাযোগ্যও বটে।
বর্তমানে পেট্রোলের মূল্য যেভাবে আকাশচুম্বী তাতে বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির ইলেকট্রিক স্কুটার এর চাহিদা বেড়েই চলেছে ধীরে ধীরে। আমরা প্রত্যেকেই জানি পেট্রোল-ডিজেলের দাম প্রতি মুহূর্তে বেড়ে চলেছে, যার ফলে পেট্রোল ইতিমধ্যেই সেঞ্চুরি করে ফেলেছে তাই নিত্যনৈমিত্তিক জীবনে যাতে একটি ব্যয়বহুল হয়ে পড়েছে।
তাই গুজরাটের একদল শিক্ষার্থীরা তাদের নিজেদের প্রচেষ্টায় তৈরি করে ফেলেছে হাইব্রিড বাইক , যা বিদ্যুৎ ও পেট্রোল উভয়ের সাহায্যে চলতে সক্ষম। এরা হলেন গুজরাটের একদল শিক্ষার্থী, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্র-ছাত্রী। যাদের প্রচেষ্টায় আমরা এক অভিনব বাইক পেয়েছি। এএনআই অনুসারে, ভিভিপি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীরা যে হাইব্রিড বাইকটি তৈরি করেছেন তার ব্যাটারি ফুল চার্জ দেওয়ার পরে ৪০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে পারে।
Gujarat | Students of VVP Engineering College in Rajkot develop a motorbike that can run on both petrol and electricity.
"Fuel prices are skyrocketing. E-vehicles have issues like slow charging. So we thought of a vehicle that can run on both," Dr Maniar, Dean, Mechanical Dept pic.twitter.com/VEyOcU1IkQ
— ANI (@ANI) July 18, 2021
ভিভিপি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের যান্ত্রিক বিভাগের ডিন ডক্টর মুনিয়ার বলেন, এই হাইব্রিড মডেলটি তৈরি করা হয়েছে এই জ্বালানি মূল্য আকাশচুম্বী হওয়ার কারণেই। ভবিষ্যতে এই ধরনের যানবাহন গুলি চাহিদা বাড়বে। তবে তারা এমন একটি গাড়ি তৈরির কথা ভেবেছিলেন যা উভয়েই চলতে পারে সেই কথা মাথায় রেখেই। তবে হাইব্রিড বাইক হিসেবে পেট্রোল ইঞ্জিন বাইক তৈরির ধারণাটি সপ্তম সেমিস্টারে শিক্ষার্থী ছিল।
তবে এই বাইকটি সম্বন্ধে জানা গেছে যে, এর ব্যাটারি পুরোপুরি চার্জ হয়ে গেলে কেবলমাত্র এক ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ হয় এবং তার বিনিময় ৪০ কিলোমিটার পথ চলতে সক্ষম হবে বাইকটি। যদিও আশা করা যায় অদূর ভবিষ্যতে আরো আরো উন্নত মানের বাইক আমরা দেখতে পাব, যাতে আরো কম খরচে বেশি পথ অতিক্রম করতে পারব। কারণ বিগত দুবছর ধরে মানুষের যে হারে আর্থিক অবনতি ঘটে চলেছে, তাতে মানুষের জীবন যাপন করায় দুঃসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মানুষের জীবিকা না জীবন কোনটি আগে সেটি বোঝা দায় হয়ে পড়েছে। পেটের দায়ে মানুষ ছুটছে অবিরত, কারণ কথাটি আছে পেটের দায় বড় দায়, সেই পেটেই যখন টান পড়ে, মানুষের বাঁচাই দুঃসাধ্য হয়ে ওঠে এবং আমরা সেই এক দুঃসময়ের মধ্য দিয়েই জীবন অতিক্রম করছি। তবে আশা করা যায় খুব শীঘ্রই আমরা এই কঠিন সময় পেরিয়ে যাব, কারণ এই আশাযই আমাদের বাঁচিয়ে রাখে। পজিটিভ থিংকিং বা পজিটিভ এনার্জি এই সময়ে সবথেকে বড় প্রয়োজন।