ক্লাস 6 এর এই বাচ্চাটি দেশের প্রধনমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির কাছে চিঠি লিখে গ্রামের সমস্যার কথা জানিয়েছিল, তারপর যা হলো।

আমাদের অনেকেরই জানা একটি কবিতা নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী উলঙ্গ রাজা, আমরা অনেকেই হয়তো এটি পড়েছি এই প্রসঙ্গে এই কবিতাটির কথা না বললেই নয় এই কবিতাটি একটি রাজার গায়ে বসন নেই, তা জেনেও বিভিন্ন বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ চুপ থেকেছে, উল্টে হাততালি দিয়ে উদ্বুদ্ধ করেছে কিন্তু রাজাকে তাঁর সত্যতা বলেছে একটি ছোট বাচ্চা ছেলে।যে বলেছে রাজা তোর কাপড় কোথায়? সে সাহস যুগিয়েছে সত্য বলবার যা সবার থাকে না। একটি ছোট ছেলে অনেক বড় শিক্ষা দিয়েছে অনেক বড় বড় বিজ্ঞ মানুষদের।
ছোটদের কাছ থেকে অনেক কিছু শেখা যায় তেমনি বাস্তবে এমন একটি ঘটনা ঘটেছে যাতে ক্লাস সিক্সে পড়া একটি মেয়ে নাম মিলন যাদব, যার কাণ্ডকারখানা তাজ্জব হয়ে গেছে গোটা গ্রামবাসীসহ, প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতিও। ১২ বছর বয়সী এই মেয়েটি গ্রামের দূরাবস্থার কথা তুলে ধরেছে দেশের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে। তাঁদের সাথে যোগাযোগও করেছেন একটি চিঠি লিখে, যাতে সমস্ত বর্ণনা দেয়া হয় তাঁর গ্রামের দুরাবস্থা, তার সাথে কিছু ছবি পাঠিয়েছেন। গ্রামের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান ও পৌর কর্পোরেশনের আইন-বিধান এর অধীনে সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধও করেছে অর্থাৎ এ থেকে বোঝা যাচ্ছে একটি ছোট্ট মেয়ে বড় বড় মানুষদের মত কাজ করে ফেলেছে।
এতদিন ধরে বড়রা করতে পারেনি তা করে দেখিয়েছে ছোট্ট নিষ্পাপ মেয়েটি। তাকে ছোট বলে তার অবমাননা করা উচিত নয়, বরঞ্চ বলা যায় নির্ভীকচেতা এক মানুষ, অসম্ভব সাহস যার মধ্যে বিরাজমান। সত্যি কথা বলতে যে ভয় পায় না, পিছুপা হয়না। সত্যি কথা সে চোখে চোখ রেখে বলতে পারে, তার কর্মকাণ্ড দেখে তাকে রীতিমত স্যালুট করা উচিত।
বড়দের মাথা হেট হয়ে যাওয়া উচিত তার কাছে বয়সে ছোট হলেও যে সে কাজে ছোট নয়, বুদ্ধিতে ছোট নয় সেটি সে প্রমাণ করলো। এমনই একটি গল্প আমাদের জানা ইঁদুর ও সিংহের, যাতে আমরা দেখেছি প্রথমে সিংহ বনের রাজা বলে নিজেকে প্রতাপশালী মনে করলেও, যখন জালে আটকা পড়ে ছিল তাকে সেখান থেকে বাঁচতে সেই ছোট্ট নেংটি ইঁদুরেই সাহায্য নিতে হয়েছিল অর্থাৎ কাউকে ছোট করা উচিত নয়। আর বয়স কিছু প্রমাণ করে না বুদ্ধি অনেক কিছু প্রমাণ করে।