পৃথিবীর সবচেয়ে দামি মাশরুম যা কেবল হিমালয়ের জঙ্গলে পাওয়া যায় , এক কিলো মাশরুমের দাম জানেন কত?

মানুষের একঘেয়ে জীবন যেমন ভালো লাগে না, তেমনি খাদ্যতালিকার মধ্যেও একঘেয়েমিতা পছন্দ নয়, তাই বিভিন্ন শাক সবজি তাদের খাদ্য তালিকা থাকা এছাড়াও বিভিন্ন রকমের সুস্বাদু ডিস বানিয়ে থাকেন, যেমন মাছ, মাংস, ডিম ,পনীর এছাড়া বিভিন্ন ডিস যা মুখে অরুচি কাটায়, তেমনি মানুষের অন্যতম একটি পছন্দের খাদ্য তালিকা রয়েছে মাশরুম।
মাশরুম অনেক এক্ষেত্রে আমরা ভালবাসি, বিভিন্ন রেসিপি মাধ্যমে মসলাদার চটকদার বানানো হয়। তেমনই গুচি একধরনের মাশরুম যা বিশ্বের সবথেকে ব্যয়বহুল মাশরুম, যদিও এটি পাওয়া যায় হিমালয় উপত্যাকার অরণ্যে। সেখানেই এই মাশরুম জন্মায়। আগুন জল, বিদুৎ নিয়ে জন্ম হয় এর। সেখানকার স্থানীয় ভাষায় কি বলা হয় ছেত্রী, টেট মোর বা ডুংগ্রু। এটিকে চাষ করা সম্ভব হয় না। বনভূমির মাঝেই এর জন্ম, খুঁজে নিতে হয় তাদের। হিমাচল প্রদেশ জম্মু-কাশ্মীর উত্তরাখণ্ডের অঞ্চলে এগুলো বেশি পাওয়া যায়। তবে এই গুচি সম্পর্কে নানান কাহিনীও কথিত আছে, সেখানকার স্থানীয় মানুষের বিশ্বাস করেন যে, বনের আগুন তুষারপাতের কারণে এই শাকসবজি প্রাকৃতিক ভাবে বৃদ্ধি পায় এবং যে সমস্ত জঙ্গল আগুনের কারণে ধ্বংস হয় সেখানে এই ধরনের শাক সবজি ভালো জন্মায়।
গ্রামবাসীরা সচরাচর মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে বনজ সম্পদ সংগ্রহ করতে যায় বনে, তখনই তারা এই গুচির সন্ধান করে থাকেন। তবে এটি কে খুঁজে পাওয়া যথেষ্ট পরিশ্রমের কাজ বলা যায়, এরা এক জায়গায় প্রচুর পরিমাণে বেড়ে ওঠে, কিন্তু আবার এমনও ঘটে যে সেই জায়গায় দু-তিন বছর আর হলোই না। তবে এ গুচ্ছি সংগ্রহ করে প্রথমে আগুনে রান্না করা হয় শুকনো গুচির ওজন আরো কমে যায় তখন।
তবে এর পুষ্টিগুণ অনেক, বিভিন্ন পোলাও বা খাবারে ব্যবহার হয়। আয়রন, ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি’ এবং বিভিন্ন ধরনের খনিজ রয়েছে এরমধ্যে। এরমধ্যে ফ্যাট কম থাকায় অনেকেই এটি পছন্দের খাদ্য। প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইবার রয়েছে প্রচুর পরিমাণে। তবে এটাও বলা হয় যে, এটি খেলে নাকি হার্টের অসুখ সারে, তবে আগের পুরনো মিথ আছে যে, এই গুচি চাষ করা যায় না।
সেই তথ্যকে ভেঙে দিয়েছেন ২০২১ সালে ট্রিবিউন ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন পেশ হয়েছিল, প্রথমবারই এই মাশরুম চাষ করা হয়েছিল ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ কৃষিক্ষেত্রে পরিচালনায় এবং তারা সফলও হয়েছিল। এই চাষে আমেরিকা, চীন, ফ্রান্স এই সমস্ত দেশগুলিতেও বর্তমানে গুচি চাষ হচ্ছে, তাই এক কথায় সোশ্যাল মিডিয়াকে ধন্যবাদ দেওয়া দরকার, বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে আমরা এত তথ্য পাচ্ছি। শুধুমাত্র এই বিশাল ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম এর মাধ্যমে জানতে পারছি শিখতে পারছি।