গ্যাস সিলিন্ডার রাখতে যে অতি আবশ্যক দশটি নিয়ম মেনে চলবেন

প্রত্যেক মধ্যবিত্ত এবং উচ্চবিত্তদের বাড়িতে থাকে গ্যাস সিলিন্ডার। গ্যাস সিলিন্ডার ছাড়া সেই ভাবে কেউ রান্না করে না। খুব কম মানুষই আছেন যারা মাটির উনুনে রান্না করেন। কিন্তু গ্যাস সিলেন্ডার মানেই হল চলন্ত বোমা। এটি যে কতখানি ভয়ংকর হতে পারি তা আমাদের আন্দাজ নেই। বর্তমানে গ্যাস সিলিন্ডার লিক করে দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়েছেন বহু মানুষ। তাই এই সমস্যা দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য আমাদের সচেতনতা হওয়া খুবই জরুরী। সচেতনতা এর মাধ্যমে গ্যাস সিলিন্ডার দূর্ঘটনা কমিয়ে ফেলা সম্ভব। এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে দেখা যাক দুর্ঘটনা প্রতিরোধ করতে আমাদের কি কি করা উচিত।
গ্যাস সিলিন্ডারের সঙ্গে যে রবারের পাইপটি থাকে, সেটিতে বিএসটিআই, ছাপ রয়েছে কিনা দেখে নিতে হবে। তার সাথে একটি বিষয় নিয়ে খেয়াল রাখতে হবে, গ্যাসের পাইপ টি যেন দৈর্ঘ্য এক থেকে দেড় ফুটের বেশি লম্বা না হয়।
রেগুলেটরের নজলটি যাতে পাইপ দিয়ে ভালো করে কভার থাকে, সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে। গরম বার্নারের সঙ্গে যাতে গ্যাসের পাইপ কোন ভাবে লেগে না থাকে, সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
পাইটি নিয়মিত ভেজা কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। ভুলেও সাবান জল ব্যবহার করলে চলবে না। দু’বছর পর পর অবশ্যই পাইপটি বদলে ফেলতে হবে।
পরিষ্কার করার জন্য গ্যাসের পাইপ কে প্লাস্টিক জাতীয় জিনিস দিয়ে রাখবেন না। সেক্ষেত্রে পাইপ ফেটে গেলে অথবা লিক হলে আপনি বুঝতে পারবেন না আগে থেকে।
গ্যাস লিক হচ্ছে বুঝতে পারলে বাড়ি কোন ইলেকট্রিক অ্যাপ্লায়েন্স অন করবেন না। তাড়াতাড়ি রেগুলেটর বন্ধ করে দিয়ে দরজা জানলা খুলে দিতে হবে।
গ্যাস লিক করার পরে কিছুক্ষণের মধ্যে যদি গ্যাস আসা বন্ধ না হয়, তাহলে গ্যাস ডিস্ট্রিবিউটর এর অফিস অথবা হেল্পলাইন নাম্বারে ফোন করতে হবে। সিলিন্ডার থেকে রেগুলেটর আলাদা করে দিয়ে সিলিন্ডারের মুখে সেফিক্যাপ পরিয়ে দিতে হবে।
খালি সিলিন্ডার থেকে গ্যাসের রেগুলেটর খোলার সময় আশেপাশে কোন মোমবাতি অথবা প্রদীপ জাতীয় জিনিস যাতে না জ্বলে ওঠে, সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
এটি ঘরে দুটি সিলিন্ডার রাখার জন্য অন্তত 10 বর্গফুট জায়গা থাকা জরুরি। এমন জায়গায় সিলিন্ডার রাখবেন না যেখানে সহজে গরম হয়ে যায় জিনিসপত্র।
সিলিন্ডারের উপরে কখনো কাপড় অথবা বাসন চাপিয়ে রাখবেন না ।গ্যাসের ওভেন কি সবসময় সিলিন্ডারের অন্তত 6 ইঞ্চি উপরে রাখুন। গ্যাস ওভেন এর ওপর এ যাতে সরাসরি হাওয়া না লাগে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
এই সমস্ত জিনিস যদি নিয়মিত মানতে পারেন তাহলে আপনার বাড়ি আগে থেকে অনেক সুরক্ষিত থাকবে।