“MA ইংলিশ চায়ে ওয়ালি” এখন তার এটাই নতুন পরিচয়, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল এই যুবতী ! জানেন ইনি কে?

সাধারণ থেকে অসাধারণ হয়ে ওঠার এ এক অনন্য কাহিনী, জীবনে থমকে না দাঁড়িয়ে জীবন যুদ্ধকে লড়াই করে জিতে নেওয়ার কাহিনী এটি।আজকাল আমরা অনেক জীবন সংগ্রামের ছবি দেখতে পাচ্ছি সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায়, তবে এ আর এক অন্যরকম ছবি ধরা পড়ল এদিন।
আমরা প্রত্যেকেই ভেবে থাকি লোকে কি বলবে? সমাজ নেবে কিনা! তা ভাবতে ভাবতেই জীবন থমকে যায়, তবে থমকে যেতে দেয়নি টুকটুকি নিজেকে এবং নিজের পরিবারকে। তাইতো ইংলিশে এম এ পাশ করেও নিজের চায়ের দোকান খুলে বসেছেন তিনি।
দোকানের নাম দিয়েছেন এম এ ইংলিশ চাইওয়ালি, গত সোমবার থেকেই চায়ের দোকান চালু করেছেন তিনি। উত্তর 24 পরগনা হাবরার বাসিন্দা মাত্র ২৬ বছরের একটি মেয়ে রবীন্দ্রভারতী মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে ৬১ শতাংশ নম্বর নিয়ে স্নাতকোত্তর পাশ করেছেন।চাকরির জন্য বহু চেষ্টা করেও নিজেকে হা হুতাশ করে থেমে থাকতে দেন নি, নিজের জীবনকে হতাশায় ডুবে না থেকে নিজেই নিজেকে বাঁচিয়েছেন।
এই বয়সেই এত সাহস দেখে অবাক হয়ে যেত হাবড়া স্টেশনের প্লাটফর্মের নিজের একটি ছোট দোকান খুলে বসেছেন, ব্যবসার তেমন বড় পুঁজি নেই যাতে সে একটা ব্যবসা দাঁড় করাতে পারে, বাবা প্রশান্ত দাসের পেশায় ব্যবসায়ী, ছোট মুদির দোকান আছে, যাতে সংসারে অভাব-অনটন মেটেনা। অভাব-অনটনের জন্য বাবাকে মাঝে মধ্যে ভ্যান রিক্সা চালাতে হয়।
তখন সেই দোকান সামলায় টুকটুকি এবং তার মা। তাঁর দাদা মধ্যমগ্রামে থাকেন। বারবার চাকরির পরীক্ষা দিয়েও বারবার নিরাশ হতে হয়েছে তাঁকে, তাই নিজের একটি পরিচয় বানাবার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন টুকটুকি, আর সেখান থেকেই তিনি খোঁজ পান ইউটিউব এর একটি চায়ের দোকানের, মুম্বাই একটি ছেলে উচ্চশিক্ষিত এবং তার চায়ের দোকান এখন ব্র্যান্ড হয়েছে।
তার দোকানের নামটিও নিজের ডিগ্রির সাথে জুড়ে রেখেছেন তিনি, সেই পথ অনুসরণ করেছেন টুকটুকিও। তবে প্রথমে বাবা-মার আপত্তি থাকলেও, পরে বাবা মাকে বুঝিয়ে রাজি করার।
মেয়ের জেদের কাছে হার মানলেন বাবা-মা। বলা যায় সবশেষে জিতল একটি মেয়ে, যার নিজের পায়ে দাঁড়ানোর লড়াইয়ে জয়ী হলো সে, সমাজের নিয়ম শৃঙ্খলা কে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে দেখিয়ে দিলো মেয়েদের কোন শৃংখলে বাধা যায় না, আমরা আজকের নারী, আমরা সব পারি।