5 কোটি টাকার সম্পত্তি দান করে দিলেন এই দম্পতি, আসুন জেনে নিই এর পেছনের রহস্য

স্ত্রীর সুখ বা ইচ্ছা পূরণের জন্য আপনারা দেখেছেন বা শুনেছেন যে, মানুষ কিছু না কিছু করে। কিন্তু স্ত্রীর জন্য কেউ সর্বস্ব দান করে এই কথাটি হয়তো আপনি আগে শোনেননি। কিন্তু এবার এমনই ঘটনা বেরিয়ে এসেছে, যেখানে স্ত্রীর শেষ ইচ্ছা পূরণের জন্য কোটি টাকার সম্পত্তি দান করেছেন এক স্বামী।

আসুন তাহলে পুরো বিষয়টি জানা যাক। আমরা আপনাকে বলি যে, হিমাচল প্রদেশের হামিরপুর জেলার নাদৌন মহকুমায় বসবাসকারী একজন অবসরপ্রাপ্ত ডাক্তার, তার স্ত্রীর শেষ ইচ্ছা পূরণ করে সরকারকে উত্তরাধিকারী বানিয়ে তার কোটি টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি দান করে দিয়েছেন।

সন্তান না হওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এই দম্পতি। সেই সাথে উল্লেখ করা দরকার যে, এই দম্পতি এমন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন এবং তাদের এমন ইচ্ছা এখন এলাকার মানুষের মধ্যে আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে।

জানা যায় যে, অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক সরকারের নামে পাঁচ কোটি টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তিগুলো দান করেছেন। একই সময়, উল্লেখ করা যেতে পারে, হামিরপুর জেলার নাদৌন মহকুমার জলসাপ্পাদ পঞ্চায়েতের শঙ্কর গ্রামের 72 বছর বয়সী ডাঃ রাজেন্দ্র কানওয়ার 33 বছর পর স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে অবসর নিয়েছেন।

তার স্ত্রী কৃষ্ণা কানওয়ার, কোনো একসময় শিক্ষা বিভাগ থেকে অবসর নিয়েছেন। একই সময় এক বছর আগে তার স্ত্রী মা_রা যায়। এমতাবস্থায়, যেহেতু তাদের উভয়ের ইচ্ছা ছিল কোনো সন্তান না হওয়ায় তারা তাদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি সরকারের নামে উইল করে দেবে, কারণ তারা এই সবই সরকারি চাকরি থেকে অর্জন করেছেন।

এমতাবস্থায়, তিনি সিদ্ধান্ত নেন এবং সমস্ত সম্পত্তি সরকারের নামে হস্তান্তর করেন। শুধু তাই নয়, অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে তার বাড়িটিকে বৃদ্ধাশ্রম করার দাবি জানানো হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। 15 অক্টোবর, 1952 সালে ধনেটা গ্রামের মা গুলাব দেবী এবং বাবা ডাঃ অমর কানওয়ারের বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন।

এরপর 1977 সালে 3 জানুয়ারি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ভরঞ্জে চিকিৎসক হিসেবে নিয়োগ হন। একই চাকরির সময় তিনি সেবার মনোভাবের কারণে পদোন্নতি লাভ করেন। উল্লেখ্য, তিনি এখনও শত শত রোগীর স্বাস্থ্যের যত্ন নেন এবং তিনি তার ক্ষেত্রের একজন স্বনামধন্য ডাক্তার, যাকে মানুষ স্নেহের সাথে কাঙ্গু ওয়ালে ডাক্তার বলে ডাকে। তিনি প্রতিনিয়ত সমাজ সেবায় নিয়োজিত থাকেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button