100 বছর বয়সেও একফালি জুতো সারানোর দোকানে পেশার সাথে যুক্ত ,তার নেশার কথা জেনে বিশ্ববাসী আজ বিস্মিত

অনেকেই নিজেদের দাদু ঠাকুমাদের কাছে শুনে থাকবেন তাদের সময়ে 100 বছর পার করা এমন কোনো ব্যাপার ছিল নাহ কিন্তু আজকের সময় এসে কেউ কি 100 বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারবেন বলে মনে হয়! আপনাদের কি ভাবনা এই নিয়ে? এখন সময় এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে যে 80 পার করতে পারা মানেই অনেক বড় ব্যাপার। আজ আমরা আপনাদের এমন একজনের কথা বলব যিনি 100 বছর পার করেছেন, কিন্তু কাজ ছাড়েননি।
বর্তমান সময়ে এসে একটা বয়স পেরোনোর পর সবাইকেই সুগার, প্রেসার ইত্যাদি রোগ গ্রাস করে। তারপর ধীরে ধীরে কাজে অক্ষমতা চলে আসে। কিন্তু এই যদি আগের দিন হতো তাহলে এরকম অক্ষমতা আসত না। তেমনই একজন হলেন উত্তর কাশ্মীরের বান্দিপুরার পীর শাহাবুদ্দিন এলাকার বাসিন্দা গোলাম আহমেদ।
এই এলাকার একটি ছোট্ট জুতো সেলাই এর দোকান তার। আজও তিনি সেখানে কাস্টমারদের মন মত কাজ করার চেষ্টা করেন। 200 থেকে 400 টাকা প্রায় দিনই উপার্জন হয়ে যায় তার। কিছু কিছু দিন অবশ্য এর কমও হয়। কিন্তু তার দিন কেটে যায়। গোলাম আহমেদের দুই ছেলে ও এক মেয়ে। সকলেই বিয়ে করে সংসারী। বাবাকে দেখতেও আসে মাঝে মাঝে।
কিন্তু গোলাম আহমেদ নিজের এই ছোট্ট টিনের দোকান ছেড়ে যেতে পারেন না। তার কাছে এই জায়গাই যেন সুখের আস্তানা। কাজ করে যা উপার্জন হয় কিছুটা নিজের কাছে রেখে বাকিটা দান করে দেন কোন গরীব দুঃখীকে। জিজ্ঞেস করলে জানিয়ে দেন বয়স হয়েছে তাই বেশি টাকা নিয়ে করবেন কি।
সন্তানদের দৌলতে ও নিজের পরিশ্রমে খুব একটা অর্থাভাব নেই তার। কিন্তু সুস্থ-সবল থাকতে কাজের বিকল্প নেই বলেই মনে করেন তিনি। নিজের ভালো থাকার তাগিদেই জুতো সেলাই করেন তিনি।