১৯০ কোটি টাকা লটারীতে জিতলেন এই মহিলা! কিন্তু তিনি না জেনে টিকিট সহ জামা ওয়াশিং মেশিনে ঢুকিয়ে ফেলে, তারপর যা হলো

লটারি খেলাটিও একটি চমৎকার খেলা। ভাগ্য সহায় থাকলে যে কেউ মাটি থেকে আকাশে, আবার আকাশ থেকে মাটিতে পড়ে যেতে পারে। একজন মহিলার সাথে একই ঘটনা ঘটেছিল, তবে মহিলার ভাগ্য জ্বলেছে নাকি ডুবে গেছে তা বোঝা যায়নি।
মহিলার একটি ভুলের কারণে, তার সমস্ত অর্থ নষ্ট হয়ে যায় এবং সমস্ত সুখ ধুয়ে যায় ওয়াশিং মেশিনে। ঘটনাটি ক্যালিফোর্নিয়ার, যেখানে একজন মহিলা লটারি টিকিট কিনেছিলেন। অনেকদিন ধরেই লটারি কিনে ভাগ্য বদলানোর চেষ্টা করেছিলেন।
তিনি গত বছর নভেম্বরে একটি লটারি কিনেছিলেন, যার প্রাইস মানি ছিল 190 কোটি টাকা। পুরস্কার নেওয়ার শেষ তারিখ চলে এলেও, কেউ জয়ের টাকা দাবি করতে না আসায় বিস্মিত হন লটারি কোম্পানির কর্মকর্তারা।
আসলে ঐ মহিলা প্রথমে জানতে না যে তিনি লটারি জিতেছেন। জানতে পেরে তড়িঘড়ি করে লটারির টাকা জোগাড় করতে পৌঁছে যায়। কিন্তু এখানে যা ঘটলো তা শুধু লটারি কোম্পানিকেই দ্বিধায় ফেলে দেয়নি, বিস্মিত সেখানকার কর্মকর্তারাও।
যে টিকিট দিয়ে মহিলাটি লটারি কিনেছিলেন তা কাপড়ের সঙ্গে মিশে গেছে। উনি বলেছিলেন, “তিনি টিকিট কেটেছিলেন এবং তার নম্বরটি লিখেছিলেন, পরে প্যান্টের পকেটে রেখে ভুলে গেছেন। কয়দিন পরে তিনি ওই প্যান্টটি লন্ড্রিতে ধোয়ার জন্য দিয়েছিলেন, যার কারণে টিকিট নষ্ট হয়ে যায়।
কোম্পানির তরফে জানানো হয়েছে, এই লাকি টিকিটগুলি লস এঞ্জেলেসের একটি দোকানে বিক্রি করা হয়েছিল। একই সঙ্গে দোকানের ম্যানেজার ফ্রাঙ্ক জানান, যেদিন টিকিট বিক্রি হয়েছিল সেদিন ওই মহিলা দোকানে এসেছেন। সেখানে লাগানো সি.সি.টি.ভি-তে এই ঘটনা ধরা পড়েছে।
এছাড়া দোকানের কর্মচারীরা ঐ মহিলাকে ভাল করে চিনতেন। তার বয়স প্রায় 40 বছর। মহিলার বক্তব্য ঠিক ছিল, যখন সি.সি.টি.ভি-তে টিকিট কেনার পর প্যান্টের পকেটে রাখতে দেখা যায় তাকে। মহিলার এই দাবির পর এখন ধোঁয়াশায় আটকে গিয়েছি লটারি সংস্থা।
তবে তিনি দোকান থেকে সি.সি.টি.ভি ফুটেজ নিয়ে গেছে। এ বিষয়ে লটারি সংস্থার মুখপাত্র ক্যাথি জনসন বলেছেন যে, “তারা মহিলার দাবি বিশ্বাস করেন না বা অস্বীকার করেননা। তাদের মাধ্যমে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
যদি কোনও ব্যক্তি/মহিলা মনে করেন যে, তিনি এই লটারির বিজয়ী, তাহলে তার এসে দাবি করা উচিত।” বলা হয়েছে, লটারির পরিমাণ নিয়ে তার দাবি সঠিক না হলে সেই টাকা ক্যালিফোর্নিয়ারই পাবলিক স্কুলে দান করা হবে।
একই সময়ে, যে দোকানটি এই টিকিটটি বিক্রি করেছে, তারা 1.30 কোটি টাকার বোনাস পেয়েছে। বর্তমানে এই প্রথম জেতার টিকিট হারানোর ঘটনা সামনে এসেছে।