১৩ লাখ টন নোংরা আবর্জনার স্তূপে ছিলো ৩০০ কোটি টাকা,সেই টাকা নিয়ে এই IAS অফিসারের কাজ জানলে আপনিও করবেন সেলাম।

আপনি আপনার ঘরবাড়িকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে নোংরা আবর্জনাগুলিকে বাইরে ফেলে থাকেন।আপনার ঘরবাড়ি তো পরিষ্কার হয়ে যায় কিন্তু বাহিরের পরিবেশে নোংরা আবর্জনা ক্রমাগত বেড়েই চলতে থাকে।এই ভাবনার পরিবর্তনের জন্য প্রধানমন্ত্রী স্বচ্ছ ভারত অভিযান শুরু করেছেন, এই অভিযান অনুযায়ী ঘরবাড়ি ও অফিসের সাথে স্কুল কলেজে ও সার্বজনীন স্থানগুলিকে পরিষ্কার রাখাও আবশ্যক।এই অভিযানের সাফল্যতা ও দেখা দিয়েছিল কিন্তু সম্পূর্ণ ভাবে নয় । মানুষ এখন সচেতন নয় পরিষ্কার পরিছন্নতাকে নিয়ে যার ফলাফল অনুসারে শহরের নোংরা আবর্জনা বেড়েই চলেছে।

পরিষ্কার পরিছন্নয়ের দিক থেকে এগিয়ে ইন্দোর। এটা জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে যে স্বচ্ছ ভারত অভিযান অনুযায়ী সমস্ত শহরগুলিকে তাদের পরিষ্কার পরিছন্নতা অনুসারে রাঙ্কিং দেওয়া হচ্ছে।তার মানে,যে শহর পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার দিক থেকে এগিয়ে থাকবে সে প্রথম স্থান পাবে এবং যে শহর সব থেকে বেশি নোংরা সে অন্তিম স্থানটি পাবে।এর প্রত্যেক শহরবাসী তাদের শহর কে প্রথম বানানোর জন্য শহরকে পরিষ্কার রাখছে।এই শহরে পর্যটকের ভিড় লেগেই থাকে এবং পর্যটকরাও এই পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা দেখে বেশ প্রভাবিত হয়,কিন্তু এই শহরকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে ইন্দোর জনবাসী কঠোর পরিশ্রম করে।

ইন্দোরে আপনি যে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা দেখতে পান তাতে সবারই যোগদান থাকে।
কিন্তু আপনাকে যদি একটি ব্যক্তি কে ধন্যবাদ জানাতে হয় তবে সে হল IAS অফিসার আশীষ সিং যার হাতে স্বচ্ছ ভারত অভিযানের দায়িত্ব ছিল।আশীষ সিং হলেন ইন্দোরের মিউনিসিপ্যাল কমিশনার।যখন তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে স্বচ্ছতার জন্য সবাইকে প্রেরিত করতে দেখেন তখন তিনিও নিজে প্রেরিত হন।তিনি নিশ্চিত করেন যে এই স্বচ্ছ ভারত অভিযানের শুরু সর্বপ্রথম নিজের শহর থেকেই শুরু করবে।

জমিতে জমে ছিল ১৩লাখ টন নোংরা আবর্জনা ,গত কিছু সময় ধরে ইন্দোরের সমস্ত নোংরা আবর্জনা একটি স্থানেই জমা হচ্ছিল।ইন্দোরের মানুষগণ আশাও করতে পারেনি যে তাদের ঘর বাড়ি থেকে নিষ্কৃত নোংরা গুলি ১৩ লাখ টন নোংরায় পরিণত হবে। ওই স্থানে নোংরা আবর্জনার সাথে সাথে ওই স্থানের জমিও আর কোনো কাজের রইল না।

আশীষ সিং এই সমস্যাকে গম্ভীর ভাবে নেন এবং ওই স্থান পরিষ্কারের পরিকল্পনা করেন।যদি তিনি এর জন্য বাইরের থেকে কোন সাহায্য নিতেন তবে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার খরচ আসতো এবং তার কাছে এরূপ বাজেট ছিল না।যেমন দশরথ মাঝি পাথরের তৈরী পাহাড় ভেঙেছিল ঠিক তেমনি আশীষ সিং এবং তার সাথীরা এই নোংরা আবর্জনায় সৃষ্টি পাহাড় কে পরিষ্কার করেছিল। নোংরা আবর্জনা থেকে বেরোলো ৩০০ কোটি টাকা

এই কাজ করতে তার প্রায় ৬মাস লেগে যায়।আশীষ সিং এবং তার দল প্রথমে ভেজা ও শুকনো নোংরাগুলিকে আলাদা করেন এর জন্য তারা মেশিনের সাহায্য নেন।লোহা কাগজ টিনের মতো জিনিসগুলিকে তারা লোহা বিক্রয়কারীর কাছে দিয়ে দেন।নোংরা আবর্জনাতে প্রাপ্ত প্লাস্টিককে তারা জ্বালানী তে বদলে দেয়।এবং রবার জাতীয় জিনিসগুলোকে গলিয়ে বিল্ডিং নির্মাণের কাজে ব্যবহার করা হয়।পলিথিন এর ব্যবহার রোড নির্মাণের কাজে ব্যবহৃত হয় এবং ধীরে ধীরে সমস্ত নোংরা সরিয়ে ফেলা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button