১০ বছর আগে নিখোঁজ হওয়া মেয়েটিকে ১৭ জন অফিসার মৃ-ত ভেবেছিল , DSP তাকে এই অবস্থায় খুঁজে বার করলো

আপনারা এখনও পর্যন্ত অনেক অফিসারদের কথা শুনেছেন। কিন্তু আজ আমরা এমন এক অফিসারের কথা বলব যার বীরত্ব আপনাদের অবাক করে দেবে। এই অফিসারের নাম হল আশীষ টীআর পাটেল। তিনি মধ্যপ্রদেশের ডিএসপি। তিনি এমন কাজ করে দেখিয়েছেন যা করতে 17 গন অফিসার ফেল হয়েছিলেন।
আসলে ডিএসপি আশীষ পাটেল এমন এক মহিলাকে খুঁজে বের করেছেন যাকে তার পরিবার 10 বছর ধরে মৃত মনে ধরে রেখেছেন। এই কেসের জন্য 18 তম অফিসার ছিলেন তিনি। তিনি জানান এই কেসটি তার কাছে চ্যালেঞ্জের মতো ছিল। তবুও তিনি সেই 27 বর্ষীয় মহিলাকে খুঁজে বের করেন। এই মহিলাটি তার 17 বছর বয়সে নিজের পরিবার থেকে আলাদা হয়ে গিয়েছিলেন। এই পুরো ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের ঝাবুয়া জেলার পেটল থানার অন্তর্গত একটি গ্রামে ঘটেছিল। একদিন হঠাৎ-ই 2011 সালে 17 বছর বয়সী মেয়েটি হারিয়ে যায়। তার বাড়ির লোকেরা নিজেদের আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধবের মধ্যে খোঁজেন। কিন্তু কেউ তার খোঁজ দিতে পারেননি। তাই বাধ্য হয়ে তারা থানায় কমপ্লেইন করেন।
2011 সালে কালু মোড়ির মেয়ে সন্তোষ মোড়ি কোন এক ঘটনায় তার পরিবারের ওপর রেগে ছিলেন। তিনি পুকুরে স্নান করতে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। কিন্তু তারপর আর ফিরে না এলে সন্তোষ মোড়ির বাড়ির লোক ও গ্রামের লোকেরা ভেবে নেন তাকে কুমিরে খেয়ে নিয়েছে।
ডিএসপি আশীষ পাটেল বলেন সন্তোষ মোড়ির গ্রাম একটি আদিবাসী গ্রাম। এই গ্রামের রীতি অনুযায়ী মেয়ের বিয়ের সময় ছেলের বাড়ির লোকেরা মেয়ের বাড়িতে টাকা দেয়। তাই তার মাথায় প্রথমেই প্রশ্ন আসে টাকার লোভে সন্তোষকে বিক্রি করে দেওয়া হয়নি তো? মেয়েটির বাড়ি ও গ্রামের লোকেদের জিজ্ঞাসা করার পর জানা যায় যে তারা কাজের জন্য ভোপাল যেতেন। তাই ডিএসপি আশীষ পাটেল ভোপালে গিয়ে নিজের মত করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
ভোপালের একটি ছোট গ্রামে আশীষ পাটেলের টিম আদিবাসী জামাকাপড় দেখতে পান। তার মনে সন্দেহ জাগায় পরেরদিন ব্যাংকের লোক হয়ে সেই বাড়িতে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। সেখান থেকে জানা যায় বাড়িটি সন্তোষ মোড়ির। সন্তোষ জানান 10 বছর আগে ট্রেনে করে তিনি ভোপালে চলে এসেছিলেন। আর সেখান থেকেই দিনমজুরি করতে করতে বিয়েও করে নেন।