হারিয়ে যাওয়া ছেলেকে ফিরে পাবার জন্য এক অসহায় বাবার জীবনসংগ্রাম।

এক বাবা তার বাকপ্রতিবন্ধী ছেলেকে খুঁজে চলেছেন প্রতিদিন প্রতিনিয়ত। তবু তার কোনো হদিশ পায়নি।এক বাবার বুকের ভিতর টা দুমড়ে মুচড়ে একাকার হয়ে যাচ্ছে তার খবর কেউ রাখে না। সন্তান যে ঠিক কি কতটা সেটা যে বাবা হয়নি সে হয়ত ঠিক বুঝতে পারবে না।সন্তানের গায়ে একটু আঁচড় লাগলে বাবা কিংবা মা তারা পাগল হয়ে ওঠে।অনেকেই বলেন সন্তানের কষ্টে মা বেশি কষ্ট পায়।কিন্তু একজন বাবার ও তেমন ই কষ্ট হয়।
ঠিক তেমনি ভাবেই কষ্ট হচ্ছে সিদ্দিক এর। তার ছেলের বয়স মোটে পনেরো বছর।নাম সোয়েব মাহমুদ সজীব।গায়ের রং ফর্সা ।শুধুমাত্র নাম টুকু ছাড়া আর কিছুই বলতে পারে না। এই বিষয়ে তেজগাঁও থানায় জেনারেল ডায়রিও (নং ১৬৪)করেন।কিন্ত তাতেও ছেলের কোনো সন্ধান পান নি।বাক্ প্রতিবন্দী ছেলে হলেও বাবার কাছে তার কলিজার টুকরো।সেই কলিজার টুকরোর থেকে তিনি আজ বহু দূরে।কোথায় আছে কি করছে কি খাচ্ছে এই সবই ভেবে চলেছে মোঃ সিদ্দিক।
দিল্লীর শাহবাগ থেকে ফার্মগেট চত্বর থেকে হারিয়ে যায় সিদ্দিক এর ছেলে।আন্তর্জাতিক প্রতিবন্দী দিবসের পর দিন (ফোর্থ এপ্রিল বৃহঃস্পতিবার ) বিকার চারটের সময় বিদ্ধস্ত হয়ে খুঁজছিলেন তিনি।আর বার বার সবার কাছে অনুরোধ করছিলেন যদি তার ছেলের ছবিসহ কেউ ফেসবুকে দেয় তাহলে যদি তার ছেলে কে সে খুঁজে পায়।এক বুক কান্না নিয়ে এক পার্ক থেকে অন্য পার্কে ছেলে মেয়েদের ভিড়ে নিজের ছেলেকে খুঁজে চলেছেন এক পিতা।এই বুঝি তার ছেলেকে সে দেখতে পাবে আর ছুটে গিয়ে তার বুকে জড়িয়ে নেবে এই প্রত্যাশায়।কিন্তু বার বার ই নিরাশ হয় তিনি।
তাই জাগরন(বাসের এক সহযাত্রী) এর কছে নিজের দুঃখ কষ্টের কথা সব বলেন। ছেলের বিবরণ ও দেন। ছেলের জন্য কান্নায় আর সবারও চোখে জল আসে। থানায় যে ডায়রি করেছেন তার দায়িত্বে ছিলেন শরিফুল ইসলাম (এস আই) তিনি বলেন , ফার্মগেট চত্বরে মাইকিং করা হয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার সমস্ত থানায় জানানো হয়েছে।তাতেও এখনো পর্যন্ত কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি তবে চেষ্টা চালিয়েও যাওয়া হচ্ছে।যাতে কেউ সহজেই চিনতে পারে তার জন্য ছবি সহযোগে ফোন নং দেওয়া হয়েছে সত্ত্বর যোগাযোগের জন্য।