হঠাৎ চলন্ত ট্রেনের সামনে মানুষ বা বন্য জীবজন্তু চলে এলে, চালক ব্রেক মারতে পারে না! আসল এই কারনটি জানলে চমকে যাবেন

ভারতীয় রেল, দেশের ট্রাফিক হার্টবিট হিসেবে পরিচিত। বেশিরভাগ মানুষ ট্রেনে করে ভ্রমণ করতেই পছন্দ করে, কারণ এই ভ্রমন আরামদায়ক এবং সস্তা। আপনি নিশ্চয়ই একটি জিনিস লক্ষ্য করেছেন যে, মাঝে মাঝে ট্রেনের ট্র্যাকে কিছু প্রাণী বা মানুষ হঠাৎ চলে আসে।
তবে ট্রেন তাৎক্ষণিকভাবে ব্রেক লাগায় না। এই কারণে আমরা প্রায়শই রেললাইনের ওপর বিকৃত লা_শ দেখতে পাই। এমন পরিস্থিতিতে, কখনও কি ভেবে দেখেছেন যে, মানুষ ও পশুর সামনে এসেও চালক কেন ট্রেনের ব্রেক লাগায় না?
সে ইচ্ছাকৃতভাবে এটি করেন নাকি এর কোনো বাধ্যবাধকতা আছে? আজ আমরা আপনাদের এই ব্যাপারে বলবো। একটি ট্রেনে অনেকগুলি কম্পার্টমেন্ট থাকে। এসব কম্পার্টমেন্টে শত শত যাত্রী এবং তাদের মালপত্র থাকে যার কারণে ট্রেনের ওজন অনেক বেড়ে যায়।
এত কিছুর মধ্যে ট্রেন একবার গতি বাড়ালে হঠাৎ করে একই জায়গায় থামানো কঠিন হয়ে পড়ে, কারণ ট্রেনে উপস্থিত ব্রেকগুলি পাইপের মধ্যে দিয়ে যাওয়া চাপের উপরে কাজ করে। ট্রেন থামাতে সব কোচের প্রতিটি চাকার ব্রেক করতে হয় এবং এই পুরো প্রক্রিয়াটি করতে অনেক সময় লাগে।
এই কারণে, চালক ইমারজেন্সি ব্রেক লাগেলেও ট্রেনটি প্রায় এক কিলোমিটার দূরে গিয়ে থামে। তবে এই দূরত্ব নির্ভর করে ট্রেনের ওজন এবং গতির উপরে। এ কারণে ট্রেনের চালক হঠাৎ গাড়ি থামাতে চাইলেও তা করতে পারেন না কারণ এর জন্য তাকে দূর থেকে দেখতে হবে ট্র্যাকে কেউ আছে কিনা।
এর পরেই তিনি ব্রেক লাগাতে পারবেন এবং সঠিক সময়ে ট্রেন থামাতে পারবে। হঠাৎ যদি কেউ ট্র্যাকে চলে আসে, সেই অবস্থায় চালকের কিছুই করার থাকেনা। অন্যদিকে ট্রেন যদি ট্র্যাকে ঘুরতে থাকে তবে হঠাৎ ব্রেক লাগানো আরো বি_প_দ_জ_ন_ক, কারণ ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হওয়ার আশঙ্কা থাকে এতে।
এমন পরিস্থিতিতে, একজনের জীবন বাঁচাতে গিয়ে ট্রেনে বসে থাকা শতাধিক যাত্রীর জীবন বিপন্ন হতে পারে। রাতের বেলা ট্রেনের ইঞ্জিন থেকে যে পরিমাণ আলো বেরোয়, চালক তার সাহায্যে অল্প দূর পর্যন্ত দেখতে পান।
এমতাবস্থায়, দূরে থাকা কেউ যদি দাঁড়িয়ে থাকে, চালক এর পক্ষে তাকে দেখা সম্ভব নয়। তাই ট্রেনের ট্র্যাক পার করার সময় সতর্ক থাকাই ভালো। যতদূর সম্ভব রেলের নিয়ম মেনে চলুন।