স্নান করার সময় ভুলেও এই কাজ করবেন না, নাহলে দারিদ্রতা এবং আর্থিক সংকট আপনার পিছু কোনোদিন ও ছাড়বে না।

হিন্দধর্মে স্নান করা খুবই পবিত্র কর্ম বলে মনে করা হয়। স্নানে যেমন শরীরের সমস্ত রোগ জীবাণু দূরে সরে যায় তেমনই মন ও মস্তিস্ক শান্ত হয়ে যায় এবং শরীর সতেজ হয়ে ওঠে। স্নান করার সময় আপনারা জেনে বা না জেনে এমন কিছু ছোট খাটো ভুল করে থাকেন যা আপনাদের জীবনের আগত দিনের শুভ ও অশুভ দিক নির্ণয় করে।আপনারা সকলেই ভাবেন যে এতে আপনাদের জীবনে আবার কিসের প্রভাব পড়বে? কিন্তু আপনারা যা যা করে থাকেন সেই অনুসারে গ্রহ নক্ষত্র পরিবর্তিত হতে থাকে। যার প্রভাবে আপনাদের ভাগ্যকে অন্য পথে পরিচালিত করে এবং সেই সব কাজের লোকসান আপনাদের ভবিষ্যতে ভুগতে হতে পারে।
স্নান করার সময় যে কাজগুলি করে থাকেন তার প্রভাব সরাসরি তিন গ্রহের ওপর পড়ে। গ্রহ তিনটি হলো চন্দ্র, রাহু ও কেতু। রাহু ও কেতু যাদের বিপক্ষে থাকে বা এর দোষ যাদের লাগে তাদের জীবনে আর্থিক সংকট এবং দুর্ভাগ্য কখনো পিছু ছাড়বে না। তাই যাতে এই ধরণের সমস্যা আপনাদের জীবনে না আসে তার জন্য আপনাদের কয়েকটি বিষয়ের প্রতি খেয়াল অবশ্যই রাখতে হবে। তাই আসুন জেনে নেওয়া যাক, স্নান করার সময় কি কি কাজ করা উচিৎ নয়।
(১)স্নান করার সময় বাথরুম এ কখনো নখ কাটবেন না। স্নান করার আগে কাটুন বা স্নান করার কিছু সময় পরে কাটুন। কিন্তু স্নান করার সময় একদম নখ কাটবেন না, কারণ এটা খুবই অশুভ কাজ বলে মনে হয়।
(২)স্নান করার সময় চুল দাড়ি কাটবেন না। বেশিরভাগ পুরুষই স্নান করার সময় দাড়ি কাটেন। কিন্তু খেয়াল রাখবেন স্নান করার আগে বা পরে দাড়ি কাটবেন। বাথরুম এ ঢুকে ভুলেও দাড়ি এবং চুল কাটবেন না।
(৩)অন্য কোনো বাড়ি থেকে আনা বা আপনার পরিবারের বাইরে অন্য কোনো ব্যক্তির পয়সায় কেনা বালতি বা মগ স্নান করার কাজে ব্যবহার করবেন না। এমনকি অন্য লোকের দেওয়া জিনিসগুলি ও বাথরুম এ রাখবেন না। যদি রাখেন তাহলে আপনি পাপের ভাগীদের হবেন এবং চন্দ্র , সূর্য ও রাহু আপনার প্রতি রুষ্ট হতে পারে।
(৪)স্নান করার সময় মিবে কোনো বাজে চিন্তা,কুচিন্তা বা কারো খারাপ করার কথা ভাববেন না। যদি আপনি কারোর খারাপ করার কথা ভাবেন তার দোষ আপনার সাথে জুড়ে যায় এবং তার পরিণামে আপনাকে আগত সময়ে ভুগতে হতে পারে। তাই স্নান করার সময় গান করুন বা কোনো মন্ত্র জপ করুন, তাহলে এই ধরণের চিন্তা কখনো মনে আসবে না।
(৫) চপ্পল বা জুতো পরে কখনোই স্নান করবেন না। যদি জুতো পরে স্নান করতে হয় তা হলে সাবান করার পর জুতো খুলে আবার পায়ে জল নেবেন না। অন্য কারোর ব্যাবহার করা টওয়াল বা গামছা ব্যবহার করবেন না। এতে যেমন রোগ জীবাণু ছড়িয়ে পড়তে পারে, তেমনই গ্রহের বিপাকে পড়তে হতে পারে এবং এর ফলে আপনাকে ভুগতে হতে পারে।
স্নান করার সময় এই ৫টি নিয়ম মেনে চলুন, আপনার জীবনে কখোনো দারিদ্রতা এবং আর্থিক সংকট থাকবে না।
আমাদের আর্টিকেল ভালো লাগলে শেয়ার করবেন