সাসপেন্ড হয়েও কোনো আক্ষেপ নেই কনস্টেবলের, তার বক্তব্য ‘আমার চাকরি গেলে যাক কিন্তু গোঁফ কাটবো না’ আমি রাজপুত!

গোঁফ নিয়ে প্রবাদটি আমাদের মধ্যে প্রচলিত। এই প্রবাদটি আক্ষরিক অর্থেই অনুবাদ করেছেন মধ্যপ্রদেশ পুলিশের এক জওয়ান। সা_স_পে_ন্ড হওয়ার পরেও, এই জাওয়ান অফিসারদের চ্যালেঞ্জ করে বলেছিলেন, “বরখাস্ত করে দিন, তবুও আমি আমার গোঁফ কাটবো না।”

এম.পি পুলিশের কনস্টেবল গোঁফের জন্য নিজের চাকরিকে ঝুঁকিতে ফেলেছেন। সেনাবাহিনীর সাহসী অফিসার অভিনন্দন এর মতন গোঁফ রেখেছেন এই জাওয়ান। পুলিশ কনস্টেবল রাকেশ রানা বলেছেন যে, কিছু পুলিশ অফিসার তাঁর এত বড় গোঁফ দেখে বেশ বিরক্ত প্রকাশ করেন এবং এই কর্মকর্তারা তাকে গোঁফ কাটতে বলেন।

তিনি গোঁফ না কাটলে তাকে সা_স_পে_ন্ড করা হয়। একই সঙ্গে কনস্টেবলও জেদের ওপর অনড়। তিনি বলেছিলেন যে, অনেক সিনিয়র অফিসারেরও গোঁফ রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, তাহলে আমি গোঁফ রাখলে সমস্যা কোথায়।

সা_স_পে_ন্ড হওয়ার পর কনস্টেবল রাকেশ রানা বলেছেন, “স্যার, বলা হয়েছিল গোঁফ কাটতে হবে, আমি গোঁফ কাটতে পারবো না। আমি রাজপুত পরিবারের সদস্য, এটা আমার গর্বের বিষয়। আমি সত্যি বড় গোঁফ পছন্দ করি। গোঁফ থাকলে একজন পুরুষকে পুরুষ দেখায়।

পুলিশে অনেক লোক আছে যাদের বড় গোঁফ আছে, আই.পি.এস অফিসাররাও গোঁফ রাখেন।” কনস্টেবল রাকেশ রানা প্রশ্ন তুলেছেন, “আমার উপরে কেন শুধু আপত্তি হচ্ছে আমি বুঝতে পারছি না। একবছর স্যারের সাথে আছি।”

জাওয়ান বলেছিলেন যে, সা_স_পে_ন_শ_ন গ্রহণযোগ্য, তবে গোঁফ কাটবেন না। অ্যাকশন এর পরেও মাথা নত করতে রাজি নন রাকেশ রানা। অভিনন্দন স্যারের মতন গোঁফ রাখার অ_প_রা_ধে আমাকে শা_স্তি দেওয়া হয়েছে। এই খবর নিয়ে এম.পি পুলিশের কর্মকাণ্ডের নিন্দা করা হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

জাওয়ানের বরখাস্ত প্রত্যাহার করার দাবি জনগণের। একই সঙ্গে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কোনো প্রতিক্রিয়া নেই এই ব্যাপারে। কর্তৃপক্ষ নীরবতা পালন করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button