সাক্ষাৎ গরীবের ভগবান! আজকের দিনেও ১০ টাকা ফি নিয়ে রোগী দেখে গরীব মানুষের সেবা করছেন কেরলের এই ডাক্তার

চিকিৎসককে আমরা সব সময় দেবতার সঙ্গে তুলনা করে রাখি। বর্তমান পরিস্থিতিতে আমাদের রক্ষা করার জন্য প্রত্যেক চিকিৎসক যেভাবে এগিয়ে এসেছেন, তাতে করে বলার অপেক্ষা রাখে না তারা ভগবান এর থেকে ছোট কেউ নয়। তবে এমন কিছু কিছু চিকিৎসক আছেন যারা সত্যি ভগবান এর বিকল্প। তেমন একজন চিকিৎসক হলেন ডক্টর নারায়ন। তিনি একজন শিশু বিশেষজ্ঞ। কিন্তু গ্রামবাসীদের কাছে তিনি ভগবান।
এটি বেসরকারি সংবাদপত্রের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ডক্তর নারায়ন ২০০২ সাল থেকে কল্লাম এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দাদের সাহায্য করে চলেছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে ১০ টাকার ডাক্তার বলে ডাকেন। চিকিৎসক ওই এলাকায় যে হাসপাতালটি তৈরি করেছেন তাকে স্থানীয় বাসিন্দারা ১০ টাকার হাসপাতাল বলে ডাকেন।
নারায়ন বলেন, পুরো অঞ্চলে পরিবর্তন আনা মুশকিল। অনেক সময় দূরদূরান্ত গ্রাম থেকে মানুষ আসে আমার কাছে টিবির চিকিৎসা করানোর জন্য। সমাজের প্রবীণরা অনেক সময় ওষুধ নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত বোধ করেন। আমরা তাদের হাসপাতালে ভর্তি করাই এবং ওষুধ খাওয়ার জন্য পরামর্শ দিই।
ভ্যাললুর সিন্ধু, যিনি তার স্বামীর চিকিৎসা করানোর জন্য হাসপাতালে এসেছেন, তিনি বলেন, আমি গত ১৫ বছর ধরে ডাক্তারবাবুকে চিনি। আমার স্বামী শরীরে ব্যথা ছিল এবং আমি ডাক্তারবাবুকে দেখাতে তাঁর হাসপাতাল এসেছি। ১০ টাকা দিয়ে ডাক্তারবাবুকে দেখাই আমরা। অনেক সময় ডাক্তারবাবু নিজেই ওষুধ দিয়ে দেন এবং কোন অর্থ নেন না।
রোগীদের ক্রমবর্ধমান সংখ্যা দেখে, ২০০০ সালের পয়লা জুন, লক্ষীনারায়ন বহির্বিভাগের ক্লিনিক স্থাপন করেন। সেখানে প্রতিদিন ৫০ জন রোগী দেখাতে আসেন চিকিৎসকের কাছে। ডক্তর নারায়ন এবং তার দল আদিবাসীদের মধ্যে একটি কমিউনিটি নেটওয়ার্ক তৈরি করেছেন। এই দল রোগীদের মানসিক স্বাস্থ্য চিহ্নিত করে এবং তাদের চিকিৎসা করে। এই চিকিৎসক দেশের সবথেকে অবহেলিত অংশের জীবন উন্নয়নে কাজ করে চলেছে।