সমুদ্রের হাজার মিটার গভীর থেকে যে ভাবে আসে ইন্টারনেট। ইন্টারনেট নিয়ে দুই দেশে যুদ্ধের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

মোবাইল, কম্পিউটার ইত্যাদির মাধ্যমে বিশ্বের সকল তথ্য, ভিডিও, অডিও, আর্টিকল সহ অন্যান্য বিজ্ঞপ্তি জানা যায়। কিন্তু প্রশ্ন হল এই সবকিছু আমাদের ডিভাইসে আসে কীভাবে? আজ আমরা আপনাদের এই প্রশ্নের-ই উত্তর দেবো।

ইন্টারনেট আর ডেটা আজকের দিনে দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই নিয়ে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ লাগার মতো অবস্থা হয়েছে। ব্রিটেন ও রুশ একে অপরকে যুদ্ধের জন্য আহ্বান জানিয়েছে। প্রথমে আমরা জেনে নিই ইন্টারনেট আমাদের ডিভাইসে আসার পথ সম্পর্কে।

ইন্টারনেট কানেকশনের জন্য যে সমস্ত তার ও বক্স থাকে সেগুলো পুরো পৃথিবীকে কানেক্ট করার কাজে লাগে। ইন্টারনেট কানেকশন, স্পীড আর ডেটা ট্রান্সফার এর আসল জাল সমুদ্রের হাজার মিটার নীচে বিছানো আছে। এই জাল অপ্টিকল কেবলের।

এই কেবল গুলোকে সাবমেরিন কমিউনিকেশন কেবল বলে। পৃথিবীর 97% কমিউনিকেশন আর ডেটা ট্রান্সফার সমুদ্রের নীচে কমিউনিকেশন কেবলের মাধ্যমে হয়। কেবলমাত্র 3% কমিউনিকেশন স্যাটেলাইটের মাধ্যমে হয়।

বর্তমানে সমুদ্রের নীচে 426 টি সাবমেরিন কেবল আছে। যার দৈর্ঘ্য 13 লাখ কিলোমিটার। সমুদ্রের নীচে বিছানো এই কেবল গুলি সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে। এমনকি সামুদ্রিক প্রাণীরাও এই কেবল গুলিকে আঘাত করে। হাই প্রেসার ওয়াটার জেটের মাধ্যমে সমুদ্রের নীচে এই কেবল গুলি বিছানো হয়ে থাকে।

ব্রিটিশ সিটিজেন স্যার টোনি রেডকিন চিন্তিত হয়ে জানিয়েছেন রুশ 20 বছরে সাবমেরিন ও জলের নীচের গতিবিধিতে অভূতপূর্ব বৃদ্ধি ঘটিয়েছে। এর কারণে গোটা পৃথিবীর রিয়েল টাইম কমিউনিকেশন সিস্টেম প্রবলেমে পড়তে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button