সটওয়্যার ইঞ্জিনি়ার ইউটিউব দেখে চা-চাষ শুরু করে আজ অনুর্বর জমিতে চায়ের বাগান বানিয়ে ফেলেন

আমাদের প্রত্যেকের জীবনেই লক্ষ্য থাকে টাকা উপার্জন করা এবং সকল ইচ্ছা পূরণ করার, তাই আমরা টাকার পেছনে ছুটে যাই কিন্তু আমাদের মধ্যে অনেক জনই আছে যারা নিজেদের সুখ-সমৃদ্ধির কথা না ভেবে ইউনিক কিছু করবার চিন্তা ভাবনা করে থাকেন।
তেমনই এক চিন্তাভাবনার মানুষের কথা আজকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় বহুল চর্চিত হচ্ছে। যিনি আর কেউ নয় যতীন ঠাকুর। ইনি একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, কিন্তু তিনি দেশ-বিদেশের বহুজাতিক কোম্পানির চাকরি কে আপন করে নেন নি, বরঞ্চ দেশের মাটিতে এসে কিছু করে দেখাবার সংকল্প নিয়েছিলেন। যতীন ঠাকুর হিমাচল বিলাসপুর এর বাসিন্দা। তার গ্রামে তিনি ফিরে এসে এসে চা বাগান তৈরীর পরিকল্পনা শুরু করেন এবং বর্তমানে তিনি যে কুড়ি বিঘা জমিতে চা বাগান করেছেন, সেখানকার মাটি ছিল যথেষ্ট অনুর্বর। তিনি ইউটিউব দেখে বুঝে সেখানকার মাটিকে প্রস্তুত করেছেন এই চাষের জন্য। তিনি জেনেছেন এবং সেখানে যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ভারতীয় চা বোর্ডের সাথেও খোঁজখবর করেছেন। যার ফলে সেই জায়গার পরিদর্শনে আসেন টি বোর্ড এর কর্তৃপক্ষরা, যার ফলে কৃষি বিভাগ থেকে আরও ২৫০০ টি চারা দিয়েছেন তাঁকে।
তবে টি বোর্ডের পরিদর্শক দল সেই জায়গা পরিদর্শন করে যা জানিয়েছেন, তা তো অবাক করার মতো। তাঁরা দাবি করেছেন যেসব গাছপালা সেই অঞ্চলে তৈরি করা হয়েছে সেগুলি আলমপুরের চাইতেও বেশি ফলন দেবে। আলমপুর চায়ের জন্য বিখ্যাত কিন্তু যতীনের কঠোর পরিশ্রম এবং তার কাজের প্রতি নিষ্ঠা থাকায় বিলাসপুরের পাত্র পঞ্চায়েতে ও তিনি ছড়িয়ে দিয়েছেন দার্জিলিং চায়ের সুবাস। এ সমস্ত কিছুই হলো তার পরিশ্রমের ফল। প্রায় দু’বছর ধরে তিনি তার নিজের পরিশ্রম এখানে দিয়েছেন, প্রাণপাত করেছেন এটিকে গড়ে তোলার জন্য।
যার জন্য জীবনে আজ তিনি সফল, তবে যদিও এখানেই থেমে নেই, তিনি ভবিষ্যতে পরিকল্পনা করেছেন যে ২৫ হাজার পর্যন্ত তিনি চারা রোপণ করবেন। এই সমস্ত খবর শুনে আমাদের উদ্ভূত হওয়া উচিত, কারন আজকাল হাতের মুঠোয় স্মার্টফোন আর ইউটিউব সার্চ করলেই নিমেষে যেকোনো কিছু সমস্যার সমাধান আমরা চটজলদি পেয়ে যাই। আর এই টেকনোলজিকে হাতিয়ার করেছেন যতীন, যার ফলে তার জীবনে এতটা সাফল্য এবং কথাতেই আছে পরিশ্রমের ফল অবশ্যই পাওয়া যায়। তেমনই যতীন ও যেখানে নিজের পরিশ্রম দিয়ে তিল তিল করে এই চা বাগানটি গড়ে তুলেছেন সেখানে সাফল্যও আসাটাই তো স্বাভাবিক।