শাহরুখ কাজলের এই হিট সিনেমার সিমরানকে ট্রেনে তুলতে কত খরচ হয়েছিলো জানেন? জানলে আপনার চোখ কপালে উঠে যাবে

শুধুমাত্র বাংলা সিনেমাতেই নয় হিন্দি সিনেমাতেও একটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন ট্রেন। সমস্ত সিনেমাতেই কমবেশি ট্রেনকে কেন্দ্র করে আমরা দেখতে পাই সিনেমার দৃশ্য, সে সমস্ত সিনেমার নাম বলতে শুরু করলে হয়তো শেষই হবেনা। যেমন, চেন্নাই এক্সপ্রেস, তিশ মার খান, শোলে, জব উই মেট, দ্য বার্নিং ট্রেনে এ ধরনের বহু সিনেমা বলিউডের তৈরি হয়েছে।
প্রতিটা বলিউডের ছবিতেই যেমন ট্রেনের ভূমিকা অনস্বীকার্য, তেমনই বাংলাতেও এমন বহু সিনেমা আছে যা আজও বেশ জনপ্রিয়। সে যুগের সত্যজিৎ রায় থেকে শুরু করে এ যুগের পরিচালকরাও সিনেমাতে ট্রেনকে একটি আলাদা মাত্রা দিয়েছেন। যেমন সোনার কেল্লা, জয় বাবা ফেলুনাথ, ধন্যি মেয়ে হোক কিংবা এখনকার সিনেমা প্রাক্তনই হোক , যেকোনো ভাষার সিনেমাতে ট্রেনের প্রাধান্য এক আলাদাই মাত্রা পায়।
তবে এখনো পর্যন্ত ট্রেনের যে দৃশ্যটি মানুষের মনে দাগ কেটে যায় তা হলো সিমরান ও রাজের দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে সিনেমাটি, যা আজও সমান জনপ্রিয়। আর এই সিনেমার শেষ দৃশ্যটিও মনে রাখেন নি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর, সিনেমার সেই শেষ অমরেশ পুরির ডায়লগ, জা সিমরন জি লে অাপনি জিন্দেগি। আর কাজলের সেই নিজের লেহেঙ্গা সামলে ছুটে গিয়ে শাহরুখের বাড়ানো হাতটি ধরা এবং অবশেষে তার হাতটি ধরতে সক্ষম হওয়া।
তাদের একসাথে ট্রেনে উঠে যাওয়া এক অতি চমৎকার দৃশ্য। এই সময় দাঁড়িয়ে আমরা তার পুনরাবৃত্তি দেখেছি চেন্নাই এক্সপ্রেসেও, আরো বিভিন্ন ছবিতে আজও তার পুনরাবৃত্তি কিন্তু এই সিনেমার দৃশ্য করতে গিয়ে পরিচালককে বেশ মোটা রকমের টাকা দিতে হয় রেল কর্তৃপক্ষকে। তবে ২০১৫ সালের পর থেকে মোদি সরকারের আমলে তার বাজেট যথেষ্টই খরচসাপেক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দৈনিক ভাড়া যা আগে ছিল ২.৩১ লাখ টাকা, তা এখন হয়ে দাঁড়িয়েছে ৪.৪৭ লাখ টাকা অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে যশ চোপড়াকে তার দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে সিনেমার জন্য অনেকটাই কম টাকা দিতে হয়েছিল।
তবে সিনেমার শুটিংয়ের জন্য যে সমস্ত স্পেশাল ট্রেন থাকে তাতে থাকে চারটি সাধারন বগি এবং একটি এস এল আর। এমনকি সর্বাধিক ট্রেনটিকে ২০০ কিলোমিটার পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় এবং বিভিন্ন খাতে বিভিন্ন টাকা দিতে হয় রেল কর্তৃপক্ষকে। যা হয়তো আমাদের কাছে অনেকেরই এসব বিষয় অজানা, তবে আগে রেলের কাছ থেকে অনুমতি নিতে অনেক ঝামেলাকর বিষয় ছিল।
তবে বর্তমানে অনেকটাই সহজ হয়ে গেছে কারণ রেল মন্ত্রক ও ন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন এর উদ্যোগে একটি ফিল্ম ফেসিলিটেশন অফিস তৈরি করা হয়েছে। যেখান থেকে প্রযোজকরা তাদের সব রকমের ছাড়পত্র পেতে পারে, এমনকি অনলাইন আবেদনের সুবিধাও রয়েছে অর্থাৎ বোঝাই যায় আগের সাথে বর্তমানের ব্যবস্থা অনেকটাই উন্নততর হয়েছে।