রোগীকে খুশি করার জন্য চিকিৎসা ছাড়াও অন্য কিছু পরিষেবা দিতেন এই সুন্দরী ডাক্তার জানলে হুঁশ উড়ে যাবে।

শেষরক্ষাতো তারাই। মৃত্যুর কাছে মানুষের আত্মসমর্পণ করতে না দেওয়ার জন্য তাদের যে আপ্রাণ লড়াই, ছুঁড়ি-কাঁচি হাতে মৃত্যুর সাথে প্রতিনিয়ত পাঞ্জা কষে যাচ্ছেন তারা। ডাক্তার মানেই মানুষের আশা ভরসা। কথায় আছেনা ভগবানের পরে ডাক্তারের স্থান। একমাত্র তারাই পারেন আমাদের মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরিয়ে আনতে এরকমটাই মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি থাকে মানুষের তাদের উপর। কিন্তু বাস্তব চিত্র বর্তমানে একটু অন্য কথাই বলছে।

আমাদের সামনে একের পর এক দূর্নীতির খবর আসছে নার্সিংহোম, হসপিটালের চিকিৎসা ব্যবস্থাকে কেন্দ্র করে। আর সেসব ঘটনা যে চিত্র তুলে ধরছে মানুষের কাছে, তাতে সাধারণ মানুষও বিশ্বাস হারাচ্ছেন চিকিৎসা ব্যবস্থার উপর। চিকিৎসকদের উপর।

ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর ঘটনাতো আমাদের কাছে প্রায়ই জলভাত হয়ে গেছে। বিভিন্ন জায়গার হসপিটাল বা নার্সিংহোমকে ঘিরে এই অভিযোগ মাঝেমধ্যেই উঠে আসে। কিন্তু এবার যা ঘটলো তা আরও মারাত্মক। ভুঁয়ো রেজিস্ট্রেশন নাম্বার নিয়ে ডাক্তারি। আবার সেই চিকিৎসকের উপর উঠে আসছে শিশু পাচারের অভিযোগও।

ভুঁয়ো ডাক্তারি সার্টিফিকেট নিয়েই নিজেকে ডাক্তার বলে দাবি করে বেশ কিছু বছর ধরেই ছোট্ট নার্সিয়হোম চালাচ্ছিলেন ডক্টর সাকসেনা পান্ডে। শুধু তাই নয় তার নার্সিংহোমের রেজিস্ট্রেশন নাম্বারটিও ছিলো অবৈধ। চিকিৎসার নামে বিভিন্ন দুর্নীতিমূলক কাজে করে চলেছিলো এই প্রতিষ্ঠানটি। কিডনি আদানপ্রদান থেকে শুরু করে সংসার অদলবদলের অভিযোগের তীর এই নার্সিংহোমকে ঘিরে।

প্রধানত অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের সন্তান প্রস্রবের সময় উচ্চমানের পরিষেবা দেওয়ার জন্যই এই নার্সিংহোমের নামডাক দিন দিন বাড়ছিলো। তার ভিতর ভিতর যে এতকিছু চলে তা ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি। প্রথম সন্তান অদল বদলের অভিযোগ করেন নার্সিংহোমে এক পেসেন্ট মধুবালা রানি দেবী। তার সেই অভিযোগের পরেই অনেকের সন্দেহ হয় এই প্রতিষ্ঠানের চিকিৎসা ব্যবস্থার উপর। ফলত অনেকেই ফলাও হন ওই নার্সিংহোমে কর্মরত চিকিৎসকদের উপর। কিন্তু তাদের প্রশ্নের কোনো উত্তরই দিতে চাননি নার্সিংহোম কমিটি।

তাই বাধ্যহয়েই এবার পুলিশের কাছে যান অভিযোগকারীরা। নার্সিংহোমের নামে এফআইআর জমা করে আসেন তারা। এবার পুলিশ তদন্ত শুরু করলেই দূর্নীতির জট খোলে। একের পর এক খাতে অসামাজিক বিভিন্ন কাজকর্মের চিত্র ধরা পরে যায় আইনের চোখে। পরবর্তীকালে এটাও দেখা যায় যে ভুঁয়ো রেজিস্ট্রেশন নম্বরের উপর ভিত্তি করেই এই নার্সিংহোম। এমনকি সন্তান অদল বদল ও শিশু পাচার চক্রেও ধরা পরেন এই নার্সিংহোমের একাধিক চিকিৎসক এবং কর্মীরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button