যে অভিনব উপায়ে জৈব চাষ করে বছরে 62 লাখ টাকা উপার্জন করলেন এই কৃষক, মধ্যপ্রদেশের চাষীদের তিনি এখন আইকন

আজ আমরা এমন এক ব্যক্তির কথা বলতে যাচ্ছি যিনি শিক্ষার নামে উচ্চ মাধ্যমিক পাস হলেও আরবি চাষ করে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা আয় করে এবং শুধু তাই নয়, তার এলাকার অন্যান্য কৃষকেরা জৈব চাষাবাদ করেন। কৃষকটির নাম রামচন্দ্র প্যাটেল। একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, “আজ থেকে প্রায় ছয় বছর আগে আমি জৈব চাষ শুরু করি। আমি আমার ফসলের জন্য শুধু গোবর সার ব্যবহার করেছি।
যদিও এর আগে আমি গতানুগতিক পদ্ধতিতে কৃষিকাজ করছিলাম কিন্তু এটিতে আমি খুব বেশি সুবিধা পাচ্ছিলাম না। তাই এমন পরিস্থিতিতে হর্টিকালচার বিভাগের একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শে আমি জৈব চাষ শুরু করি। এরপর আমি আরবি বপন করি। তারফলে এখন আমার অনেক লাভ হচ্ছে কারণ, এতে অনেক ঔষধি গুণ রয়েছে এবং কালো আরবি বাজারে অনেক বেশি চাহিদা সম্পন্ন।” রামচন্দ্র প্যাটেল ড্রিপ পদ্ধতিতে চাষাবাদ করায় এর খরচ অনেক কমেছে এবং তিনি লাভবান হয়েছেন।
তিন বছর আগে পর্যন্ত রামচন্দ্র পাটেল 18 একরে চাষ করছিলেন। তিনি এখন আরবি ফসলের উপকারের পরিপ্রেক্ষিতেই এই ফসলের পরিধি 3 একর বৃদ্ধি করেছেন। এই মৌসুমে তিনি মোট 3,200 ব্যাগ আরবি উৎপাদন করেছেন এবং মোট 62 লক্ষ টাকা আয় করেছেন। তিনি বলেছেন যে, ” যদি লকডাউন না হতো তাহলে উপার্জনের গ্রাফ আরো বাড়তো।” রামচন্দ্র বিশ্বাস করেন যে, কৃষিকাজ একটি খুব লাভজনক চুক্তি, যদি এটি একটি ব্যবসা হিসেবে করা হয়, জলবায়ু অনুসারে।
বাণিজ্যিকভাবে লাভজনক ফসল বপণ করতে হবে এবং কঠোর পরিশ্রমের সাথে তা অনুসরণ করার চেষ্টা করতে হবে। তিনি বিশ্বাস করেন মানুষের যেমন বেড়ে উঠতে জল এবং খাদ্যের প্রয়োজন তেমনই ফসলেরও ভালোভাবে বেড়ে ওঠার জন্য দরকার সঠিক পরিমাণে জল এবং ভালো সার। সার যত ভালো হবে ফলন তত ভালো হবে। তিনি বলেন যে, “তিনি বিভিন্ন ধরনের ফসল নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে চান এবং এর জন্য তারা এখনও লকডাউন শেষ হওয়ার এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার অপেক্ষা করছেন” ।
রামচন্দ্র প্যাটেল বলেন, তিনি যা করেন তা শুধুমাত্র মনের সন্তুষ্টির জন্য। তিনি অন্যান্য কৃষকদের জীবন-যাত্রার মান বাড়াতে কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা পরিচালিত বিভিন্ন স্কিমগুলির সুবিধা নিতে বলেন এবং একই সাথে, আমরা প্রত্যেকে স্কিমগুলি প্রচার করার জন্য আহ্বান জানাই, যাতে আরো বেশি বেশি কৃষক উপকৃত হতে পারেন।