মেয়েটি স্কুটি করে স্কুলে যাচ্ছিলো, গলায় চিনা মাঞ্জা দেওয়া সুতো পেঁচিয়ে যা হলো জানলে আপনি আঁ-তকে উঠবেন

সরকার চাইনিজ মাঞ্জা ব্যান করে রেখেছে। কিন্তু এরপরও মার্কেটে এই মাঞ্জা খোলাখুলি ভাবে বিক্রি হচ্ছে। এই মাঞ্জা ঘুড়ি ওড়ানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। এই মাঞ্জা এত ধারালো হয় যে মানুষের গলা পর্যন্ত কেটে যেতে পারে।
এমনই এক ঘটনা ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনী শহরের একটি মেয়ের সাথে। গত শনিবার অর্থাৎ 15 ই জানুয়ারি 20 বছর বয়সী যুবতী নেহা আঞ্জনা, তার পিসির মেয়ে নিকিতার সাথে বেলা 12 টা নাগাদ স্কুটিতে করে যাচ্ছিল। স্কুটি নেহা চালাচ্ছিল আর পিছনে নিকিতা বসে ছিল।
স্কুটি চালিয়ে ব্রিজ পার করার সময় চাইনিজ মাঞ্জা নেহার গলায় পেঁচিয়ে যায়। ভালো করে কিছু বোঝার আগেই চাইনিজ মাঞ্জার কারণে গলা কেটে রক্ত বেরিয়ে যায় নেহার। আর তারা দুজনেই স্কুটি নিয়ে পড়ে যায়। রাস্তা দিয়ে তখন উকিল দেবেন্দ্র সিংহ সেঙ্গর যাচ্ছিলেন। এই অবস্থা দেখা মাত্রই কাছাকাছি পাতিদার হাসপাতালে ভর্তি করান তাদের। যদিও ঘটনাস্থলেই নেহার মৃত্যু হয়েছিল।
এই ঘটনায় এসএসপি রবীন্দ্র বর্মা জানান আগেও তারা চাইনিজ মাঞ্জা বিক্রেতাদের ওপর কঠিন পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। কিন্তু এবার থেকে রাসুকা তাদের বাড়ি ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। জানা যাচ্ছে চাইনিজ মাঞ্জার কারণে প্রথমে তার নিঃশ্বাস নেওয়ার নালি কেটে যায়। এরপর তার রক্ত প্রবাহিত হওয়ার নালি দুভাগে কেটে যায়। এই অবস্থায় মানুষ দু-তিন মিনিটও খুব কষ্ট করে বাঁচে।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান টুইট করে নিজের রাগ জাহির করেছেন। তিনি এই ব্যাপারে কঠিন পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রশাসনকে। প্রশাসন থেকে গত রবিবার চাইনিজ মাঞ্জা বিক্রেতাটির বাড়ি অনেক জায়গায় ভেঙে দেওয়া হয়। পুলিশের কাছে খবর ছিল উক্ত বিক্রেতা নিজের বাড়ি থেকেও অবৈধভাবে চাইনিজ মাঞ্জা বিক্রি করছিলেন।
চাইনিজ মাঞ্জা নায়লন ও কাঁচের গুড়ো মিশিয়ে বানানো হয়। এই মাঞ্জা দেখতে প্লাস্টিকের মতো হলেও স্ট্রেচেবল। এটিকে টানলে ছেড়ে যাওয়ার বদলে আরও লম্বা হতে থাকে। গলা ছাড়াও শরীরের অন্যান্য অঙ্গ কাটতে পারে এই মাঞ্জা।