মুরগির লিভার (মেটে) খাওয়ার উপকারিতা জানলে চমকে যাবেন, জানুন এক্ষুনি।

যারা নন ভেজ পছন্দ করেন তারা যে মুরগির মাংস মেনুতে রাখবেন একথা হলপ করে বলাই যায়। কেউ কেউ আবার প্রতিদিন চিকেনের টেস্ট নিয়ে থাকেন। মুরগির মাংস আমাদের শরীরের পক্ষে খুবই উপকারি। কিন্তু আজব বিষয়, চিকেন খাওয়ার সময় সবাই কিন্তু মুরগির পা খেতে পছন্দ করেন। বেশির ভাগ মানুষ তো আর জানেনা মুরগির পায়ের চাইতে মুরগির কলিজাতে বেশি পরিমানে পুষ্টি লুকিয়ে আছে। চলুন আজ আমরা জেনে নিই মুরগির কলিজা খেলে শরীরের আসলে কি কি উপকার হতে পারে।

মুরগির কলিজাতে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন, আয়রন, ক্যালশিয়াম, ফাইবার ছাড়াও আরও অনেক উপকারি উপাদান বর্তমান। যার ফলে মুরগির কলিজা খেলে আমাদের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যাঙ্গ উপকৃত হয়। কলিজার ভিটামিন চোখের দৃষ্টিশক্তি ও মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটায়। আবার অন্যদিকে ক্যালশিয়াম দাত ও হাড়ের পক্ষে খুব লাভ দায়ক। মুরগির কলিজাতে যে ফাইবার ও আয়রন আছে তা শরীর ও হার্টের পক্ষে খুব উপকারি। মুরগির কলিজাতে ভিটামিন-এ এবং বি থাকে। যার ফলে চোখের জ্যোতি সমস্যা ও ডায়বেটিসের মতো অসুখ থেকে মুক্তি পেতে পারেন। যদি আপনার শরীর খুব রোগা হয় তবে আপনি মুরগির কলিজা খেতে পারেন প্রতিদিন। এতে শরীরের ওজন বৃদ্ধি পাবে খুব তাড়াতাড়ি।

বড় কোনও অপারেশনের পর, প্রচুর রক্তক্ষরণের পর, গর্ভাবস্থায়, সন্তান জন্মদান বা মাতৃদুগ্ধ দানকালীন সময়ে কলিজা খাওয়া যথেষ্ট উপকারী। তবে হৃৎপিণ্ডেরবাইপাস সার্জারি বা রিং পরানো, উচ্চ রক্তচাপজনিত রক্তক্ষরণের পরে কলিজা খাওয়া ঠিক নয়। কারণ, এতে দেহে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। শিশু থেকে ৪০ বছর বয়স্কমানুষের জন্য যথেষ্ট দরকারি খাদ্য উপাদান হলো কলিজা।কলিজায় ভিটামিন ‘এ’এবংআমিষ রয়েছে প্রচুর পরিমাণে। এই উপাদানগুলো দেহের বর্ধনের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ।

কলিজায় আরও রয়েছে উচ্চমাত্রার ভিটামিন বি-সিক্স। কলিজার ভিটামিন ‘এ’ শীতকালীনঠাণ্ডা কাশির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে । আমাদের শরীরের শিরা-উপশিরার ভেতর দিয়ে রক্তপ্রবাহিত হয়। কলিজার কোলাজেন ওইলাস্টিন নামের উপকরণ এই শিরা- উপশিরার দেয়ালকে প্রসারিত করে । ফলে রক্ত প্রবাহ সহজ হয়। সেলেনিয়াম নামের আরও একটি জরুরি উপাদান আছে এই কলিজায়।

সেলেনিয়াম হ্রাস করে ক্লোন ক্যানসারের পরিমাণ সেলেনিয়াম শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি, ইনফেকশন, শরীরের জয়েন্টে ব্যথা,কৃমির পরিমাণকে কমিয়ে দেয়। আমাদের শরীরে ঠাণ্ডা জনিত জ্বর, টনসিলাইটিস, সর্দি সৃষ্টিকারী ভাইরাস নামক জীবাণুর বিরুদ্ধে কাজ করে জিংক।কলিজায় রয়েছে মাত্রা অতিরিক্ত পরিমাণে জিংক। তাই শরীরের জিংকের চাহিদা মেটানোর জন্য কলিজা খাওয়া খুবই জরুরী। ছোটদের জন্য মুরগির কলিজাও উপকারী। তাই এবার থেকে ফুড হ্যাবিটে যোগ করে নিন এই খাবার।আমাদের আর্টিকেল যদি পড়ে ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই শেয়ার করবেন, ভালো থাকবেন ধন্যবাদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button