মাত্র 17 বছর বয়সেই প্রেগনেন্ট হয়েছিলেন ভাগ্যশ্রী, সালমান খানের সাথে সিনেমার এই দৃশ্যের শুটিং এর সময় তিনি অঝরে কেঁদে ছিলেন! আসল কারণ জানলে আপনি অবাক হবেন

প্রতিবছর বলিউডে অনেক ছবি তৈরি হয়। তবে তার মধ্যে কিছু সংখ্যক ছবি মানুষের মনে দাগ কেটে যায়, যেগুলোকে হাজার বার দেখার পরেও কোনো বিরক্তি আসেনা। এমন একটি ছবি 1989 সালে তৈরি করেছিলেন সুরজ বরজাতিয়ার। এই ছবির নাম ছিল ‘ম্যানে পেয়ার কিয়া’। এই ছবিটি সেইসময়ের সবথেকে বড় ব্লকবাস্টার হিট ছবি ছিল।
আজও যখন এই মুভিটা টিভিতে দেখানো হয় সবাই খুব আনন্দ সহকারে এটি দেখেন। এটি সেই একই ছবি যেখান থেকে সালমান খান প্রধান অভিনেতা হিসেবে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন এবং এই ছবিতে তার বিপরীতে ছিলেন ভাগ্যশ্রী। এটিও ভাগ্যশ্রীর অভিনেত্রী হিসেবে তার ডেবিউ ফিল্ম। সুমনের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন ভাগ্যশ্রী।
এটি সালমান খান এবং ভাগ্যশ্রী উভয়েরই প্রথম ছবি এবং ছবিটি সুপার হিট হয়েছিল। ছবিটি দর্শকদের অনেক ভালোবাসা পেয়েছে, এই ছবিটি সালমান খান এবং ভাগ্যশ্রীকে রাতারাতি বিখ্যাত করে তোলে। ছবিটিতে দুজনের জুটিও বেশ পছন্দ হয়েছে সকলের। এই ছবিটির সাথে সম্পর্কিত একটি উপাখ্যানও রয়েছে যা খুব কম লোকই জানে। এই ছবিতে সালমান খানের সঙ্গে একটি দৃশ্যের শুটিং এর আগে কেঁদেছিলেন ভাগ্যশ্রী।
এই গল্পটি ভাগ্যশ্রী একটি সাক্ষাৎকারে উল্লেখ করেছিলেন এবং তিনি বলেছিলেন যে, ছবির একটি দৃশ্য ছিল যেখানে তাকে সালমান খানকে আলিঙ্গন করতে হয়েছিল। যদিও শুটিং এর আগে তিনি অনেকক্ষণ কেঁদেছিলেন।
পরিচালক তাঁর কাছে কারন জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমি রক্ষণশীল পরিবারের সন্তান। আমার পরিবার আমাকে চুড়িদারের চেয়ে বেশি পোশাক পড়তে দেয় না।” এমন পরিস্থিতিতে যখন তিনি আলিঙ্গনের দৃশ্যের স্ক্রিপ্ট হাতে পান, এবং শুটিংয়ের সময়ে এলেন, তখন তিনি আতঙ্কে কাঁদতে শুরু করেন। যাইহোক পরে সবাই তাকে সান্ত্বনা দিয়ে ছিল এবং তিনি সেই দৃশ্যটি করেছিলেন।
এই ছবিতে সালমান খান-ভাগ্যশ্রী কেমিস্ট্রি মানুষ খুব পছন্দ করেছে, মজার ব্যাপার হলো ছবিটি মুক্তির এত বছর পরেও সালমান খান ভাগ্যশ্রীর খুব ভালো বন্ধু। তবে সালমানের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক সবসময় শুধুমাত্র বন্ধুত্বের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিলো। ‘ম্যানে পেয়ার কিয়া’ ছবির শুটিংয়ের সময় ভাগ্যশ্রী হিমালয় দাসানির সাথে ডেটিং করা শুরু করেন, এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা প্রকাশ করেছেন।
একটি সাক্ষাৎকারে ভাগ্যশ্রী বলেছেন, “আমার চরিত্র সুমন যে ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হয়েছিল, বাস্তব জীবনেও আমার সাথে একইরকম হচ্ছে। আমি হিমালয় দাসানির প্রেমে পড়েছিলাম, কিন্তু পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি জানতে পেরে যায়। তারা চায়নি আমি হিমালয়ের সাথে দেখা করি। এমন পরিস্থিতিতে আমি বাড়ি থেকে পালিয়ে 1989 সালে তাকে বিয়ে করি এরপরে আমি মাত্র 17 বছর বয়সে গর্ভবতী হয়ে যাই।”
এই বিবাহ থেকে তাদের একটি পুত্র অভিমন্যু হয়। বিয়ের পর তার চলচ্চিত্র জীবন খুব একটা ভালো যায়নি। ভাগ্যশ্রীর অবন্তিকা নামের একটি মেয়েও রয়েছে।