বিশ্বের সবচেয়ে বড় পরিবার, ৩৯ জন স্ত্রীর সাথে বসবাস করেন একজন স্বামী..

বর্তমান যুগ হল নিউক্লিয়ার ফ্যামিলির যুগ, ফ্ল্যাট কালচারের যুগ। ছেলেরা নিজের বাবা-মা কে ছেড়ে স্ত্রী-কে নিয়ে আলাদা থাকে। কিন্তু আজ আপনাদের এমন এক ব্যক্তির কথা বলবো, যিনি হলেন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় পরিবারের মালিক। তার কথা শুনলে আপনিও হাঁ হয়ে যাবেন।

আজ আমরা যে ব্যক্তির কথা বলছি, তিনি হলেন ভারতের মিজোরাম রাজ্যের বাসিন্দা জিওনা চানা। লোকজন যেখানে পরিবারের দু তিন জনের খরচ বহন করতে হিমসিম খেয়ে যান সেখানে এই ব্যক্তি তার ৩৯ জন স্ত্রী, ৯৪ জন সন্তান, ১৪ জন বউমা এবং ৩৩ জন নাতি-নাতনি নিয়ে একসাথে বাস করছেন। জিওনার চার তলার বাড়িতে ১০০ টা ঘর রয়েছে আর সবাই একসাথে সেই বাড়িতেই থাকে। পেশাগতভাবে জিওনা একজন কাঠমিস্ত্রী।

পরিবারের মোট সদস্য সংখ্যা ১৮১ , ১৭ বছর বয়সে নিজের প্রথম বিয়েটা সারেন যাথিয়াঙ্গির সাথে কিন্তু এখনো তার বিয়ে করার ইচ্ছে রয়েছে। গোটা পরিবারেই একটি সেনাবাহিনীর মত নিয়ম বলবৎ রয়েছে। জিওনার প্রথম স্ত্রী যাথিয়াঙ্গী সকলকে তাদের কাজের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন নিত্যদিন। এই পরিবারের প্রতিদিন খাবার জন্য ৬০ কেজি আলু এবং প্রায় ১০০ কেজি চাল প্রয়োজন হয়। আর কোনোদিন মাংস হলে, প্রায় ৩০ কেজির মতো মুরগীর মাংস প্রয়োজন হয়।

মিজোরামের পাহাড়ি এলাকার সবচেয়ে বড় কংক্রীট স্ট্রাকচারের বাড়ি রয়েছে জিওনার মিঃ চানা বলেন, “আমি নিজেকে ঈশ্বর প্রদত্ত সন্তান বলে মনে করি। কারণ তিনি আমাকে এতজনের দেখাশোনা করার দায়িত্ব দিয়েছেন।”

আমি নিজেকে অত্যন্ত ভাগ্যবান স্বামী মনে করি, আমার ৩৯ জন স্ত্রী রয়েছে এবং পৃথিবীর সবচেয়ে বড় পরিবারের আমি প্রধান কর্তা।”

কোনোও উৎসব নয়, পরিবারের নিত্যদিনে খাবারের সরঞ্জাম মাত্র।কাকতালীয়ভাবে চানা, সেখানকার এক সম্প্রদায়েরও প্রধান, যারা লোকজনকে যত খুশি বিয়ে করার অনুমতি দেয়।

এমনকি তিনি বছরে ১০ জন মহিলাকেও বিয়ে করেছেন, যখন তিনি সন্তান উৎপাদনের জন্য আদর্শ ছিলেন। তিনি তার বড় ডাবল বেডে একা শুতেই পছন্দ করতেন এবং তার সমস্ত স্ত্রীরা একটি বড় হলে সবাই একসাথে শুতো।

খাবার টেবিলে পরিবারের সদস্যরা:-তিনি সবচেয়ে কম বয়সী স্ত্রীদের তার শয্যা গৃহের কাছাকাছি রাখতেন এবং বয়স্ক স্ত্রীরা অন্যত্র দূরে শুতো। আর চানা বেড রুমে রাত কাটানোর জন্য রোটেশন পদ্ধতি হত অর্থাৎ প্রতিদিনই অন্য অন্য স্ত্রী তার ঘরে রাত কাটাতেন।

রিঙ্কমিনি, যিনি মিঃ চানার ৩৫ বছর বয়সী একজন স্ত্রী, তিনি জানান, “আমরা সবসময়ই তার ঘরের কাছাকাছি থাকার চেষ্টা করতাম, কারণ তিনিই বাড়ির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। উনিই হলেন আমাদের গ্রামের সবচেয়ে সুদর্শন পুরুষ।”

৩৯ জন স্ত্রীর সাথে জিওনা:-তো বন্ধুরা আপনাদেরও ইচ্ছে আছে নাকি এরকম বড় পরিবার বানানোর? আপনাদের মতামত কমেন্ট করে জানাতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button